Liver Transplant: বাবার লিভার ছেলের শরীরে! এক টাকাও খরচ হল না! অসাধ্য সাধন চিকিত্সকদের
- Published by:Suman Majumder
Last Updated:
Kidney Transplant: পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে ক্রমেই লিভারের অসুখের প্রকোপ বাড়ছে।
#কলকাতা: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মহিষাদলের বাসিন্দা পেশায় কৃষক সুবর্ণ প্রামানিকের দ্বিতীয় সন্তান শ্রেয়াংশ জন্মের পর প্রায়ই অসুস্থ থাকত। আচমকা খুব বমি হত শ্রেয়ানের। এরপরই জন্ডিস ধরা পড়ে।
আরও বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেওয়ায় প্রথমে ছোট্ট শ্রেয়ানকে তমলুকের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। এরপরই কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা জানান, লিভারের অবস্থা খুব খারাপ। সেখানে সুফল না মেলায় শ্রেয়াংশকে ব্যাঙ্গালুরুর এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান তাঁরা। সেখানেও সমস্যার সুরাহা হয় না।
আরও পড়ুন- চা বিক্রেতার ইচ্ছে পূরণে চায়ের দোকানেই আয়োজিত হল রক্তদান শিবির
এরপর শ্রেয়াংশকে চেন্নাইয়ের কাবেরী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তার লিভারের অসুখ নির্ণয় হয়। কাবেরী হাসপাতালের চিকিৎসক পরিস্থিতি বুঝে জানান, অবিলম্বে লিভার প্রতিস্থাপন না করলে শিশুকে বাঁচানো অসম্ভব। দু বছরের শ্রেয়ানের সঙ্গে তাঁর বাবার লিভার ম্যাচ করে।
advertisement
advertisement
প্রথমে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, নূন্যতম ১৮ লাখ টাকা খরচ হবে এই প্রতিস্থাপনে। মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে শ্রেয়ানের পরিবারের। সামান্য কৃষিজীবী পরিবারের পক্ষে এত টাকা জোগাড় করা একপ্রকার অসম্ভব।
এরপরই দেবদূতের মতো কাবেরী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ায়। বিভিন্ন কর্পোরেট সংস্থার কাছ থেকে সিএসআর বা কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপনসিবিলিটি-র মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ টাকা তারাই জোগাড় করে।
advertisement
বাবা নিজেই ডোনার হন। এরপরই জরুরি ভিত্তিতে শ্রেয়ানের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট সার্জারি করা হয়। মাত্র সাত দিন পর শ্রেয়াংশকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়। এখন সে সম্পূর্ণ সুস্থ ও স্বাভাবিক।
গত ১৯শে এপ্রিল আন্তর্জাতিক লিভার দিবস পালিত হয়েছে। শুধু শ্রেয়ান নয় এই রাজ্যের আরো দুজন রোগীরও সফল লিভার প্রতিস্থাপন করেছে বেঙ্গালুরু কাবেরী হাসপাতালে।
advertisement
আরও পড়়ুন- টানা দুবছর বন্ধ থাকার পর পর্যটকদের জন্য খোলা হল চন্দননগরের ফরাসি মিউজিয়াম
কলকাতার বাসিন্দা এলা রায়, ৬৩ বছর বয়স। ফ্যাটি লিভারের সমস্যায় ভুগছিলেন এবং তার থেকে লিভার সিরোসিস হয়ে যায়। তিনিও এই কাবেরী হাসপাতালে সাফল্যের সঙ্গে লিভার প্রতিস্থাপন করে সুস্থ আছেন। চঞ্চল কুমার বসু , ৫০ বছর বয়স, তিনিও কলকাতার বাসিন্দা। তিনি ন্যাশ সংক্রান্ত লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হন। কাবেরী হাসপাতালে তাঁর লিভার ট্রান্সপ্লান্টের পর তিনিও এখন স্বাভাবিক জীবন যাপন করছেন।
advertisement
এই ইতিবাচক অভিজ্ঞতাগুলির নিরিখে বেঙ্গালুরুর কাবেরী হাসপাতাল এবার তিলোত্তমার দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডে শুরু হয়েছে কাবেরী হাসপাতালের একটি তথ্যকেন্দ্র।
তামিলনাড়ুর মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতাল চেনের এই তথ্যকেন্দ্রে পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শ, চিকিৎসার বিষয়ে পথ নির্দেশ গ্রহণ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ।
বৃহস্পতিবার কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে কাবেরী হাসপাতালের প্রখ্যাত শল্যচিকিৎসক ডা: এলানকুমারন, প্রধান, লিভারের অসুখ ও প্রতিস্থাপন বিভাগ জানান, "যে কোনো লিভার প্রতিস্থাপনই সফল হয় প্রি ও পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারের জন্যই। সঠিক পরিকাঠামো,অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও দক্ষ চিকিৎসাকর্মীর সমন্বয়ে সাফল্যের দিক নির্দেশিত হয়। আমরা দেশের সেরা লিভার ট্রান্সপ্লান্ট টিম এবং দেশ জুড়ে অসংখ্য রোগীর সফল প্রতিস্থাপন করে চলেছি। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গে ক্রমেই লিভারের অসুখের প্রকোপ বাড়ছে।"
advertisement
আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানে কাবেরী হাসপাতাল অগ্রগণ্য প্রতিষ্ঠান। বড় শহরের পাশাপাশি ছোট শহরেও উন্নত চিকিৎসা পরিষেবা দেন বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কাবেরী হাসপাতাল বিশ্বের অন্যতম সেরা হাসপাতালের স্বীকৃতি লাভ করেছে নিউজউইক ম্যাাগাজিন দ্বারা ২০২২-এ।
এখানে রয়েছে কার্ডিওলজি, নেফ্রোলজি, অঙ্কোলজি, লিভার অসুখ ও ট্রান্সপ্লান্ট সহ অর্থোপেডিক ও স্পাইনাল কর্ড চিকিৎসার সেন্টার অফ এক্সেলেন্স বিভাগ। আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন চিকিৎসকদের সমন্বয়ে নিরাময়ের অভিযানে নিয়োজিত চিকিৎসক দল।
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
April 21, 2022 5:34 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Liver Transplant: বাবার লিভার ছেলের শরীরে! এক টাকাও খরচ হল না! অসাধ্য সাধন চিকিত্সকদের