হাজার চেষ্টা করেও বাড়ছিল না ময়ূরের সংখ্যা! এবার মোক্ষম দাওয়াই বন দফতরের, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে জাতীয় পাখি

Last Updated:

ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে ময়ূরের সংখ্যা বাড়াতে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হল, যাতে করে এবার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে ময়ূরের সংখ্যা।

+
ময়ূর

ময়ূর

ঝাড়গ্রাম, তন্ময় নন্দী: ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে এই প্রথম কৃত্রিম উপায়ে ময়ূরের ডিম ফুটিয়ে সাফল্য পেল বন দফতর। যার ঝাড়গ্রাম জুলজিক্যাল পার্কে বৃদ্ধি পেতে চলেছে‌ ময়ূরের সংখ্যা। তবে প্রাকৃতিক উপায়ে নয়, কৃত্রিম উপায়ে ময়ূরের ডিমে তা দিয়ে শাবক তৈরি করা হল। যার ফলে পর্যটকেরা আরও বেশি পরিমাণে ময়ূর দেখতে পাবেন। এবারেই প্রথম এই প্রক্রিয়ায় ময়ূরের শাবকের জন্ম হল জুলজিক্যাল পার্কে। তবে বড় না-হওয়া পর্যন্ত আলাদা করেই রাখা হবে তাদের।
তাদের খাবারের জোগান দিচ্ছেন বনকর্মীরা। জানা গিয়েছে, প্রাকৃতিক উপায়ে ময়ূরের সংখ্যা ঠিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছিল না জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্কে। তিনটি ময়ূর থেকে ১০টি হতে সময় লেগেছে প্রায় ১১ বছর। বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা জানান, বছরে কেবলমাত্র একবারই (মে মাসের মাঝামাঝি থেকে জুলাই মাসের মাঝামাঝি) ডিম পাড়ে ময়ূর। নতুন ১০টি ময়ূর শাবকের উপরে এখন সর্বক্ষণের নজর রাখছেন বনকর্মীরা। ২০১৪ সালের আগে চিড়িয়াখানার এনক্লোজারে তিনটি ময়ূর ছিল। যা বর্তমানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয়। তার মধ্যে চারটি পুরুষ ময়ূর এবং পাঁচটি স্ত্রী ময়ূর রয়েছে। ময়ূরের ডিম পাড়ার সময়ে প্রতিদিন সকালে এনক্লোজার থেকে ডিম সংগ্রহ করা হয়। ডিমের উপরে তারিখ লিখে রাখা হত ইনকিউবেটরের মধ্যে। এভাবে মোট ২৫টি ডিম রাখা হয়। ২৮ থেকে ৩০ দিন থাকার পরে ওই ডিমগুলি ফুটে শাবক বেরিয়ে আসতে শুরু করে।
advertisement
advertisement
ময়ূরের শাবকগুলোকে আলাদাভাবে রেখে ইমিউনিটি বুস্টার দেওয়া হচ্ছে। ঘাস ফড়িং, অঙ্কুরিত ছোলা, গোটা মুগ, গাজর ও কুমড়োর টুকরো খাওয়ানো হচ্ছে। শাবকগুলো পূর্ণবয়স্ক না-হওয়া পর্যন্ত কোয়রেন্টাইনে রাখা হবে বলেও জানিয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ। ঝাড়গ্রাম বন বিভাগের ডিএফও উমার ইমাম বলেন, ‘এই প্রথম আমরা ইনকিউবেটরের সাহায্যে ময়ূরের ডিম ফোটাতে সক্ষম হয়েছি।’ থার্মোকলের একটি পেটিতে বৈদ্যুতিক বাল্ব লাগান হয়। সেখানেই তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করেই আসে সাফল্য। একটি ময়ূর গড়ে আট থেকে দশটি ডিম পাড়ে।
advertisement
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এনক্লোজারে রাখা ময়ূরগুলির ক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটছিল। ফলে ময়ূরের সংখ্যা খুব একটা বৃদ্ধি পাচ্ছিল না পার্কে। তারপরেই ইনকিউবেটর (কৃত্রিম উপায়ে ডিম ফোটানোর যন্ত্র) সাহায্যে ময়ূরের ডিম থেকে শাবক তৈরির চেষ্টা করা হয়। কিন্তু প্রথমবারের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। শেষ পর্যন্ত, পার্ক কর্তৃপক্ষের নিজেদের প্রচেষ্টায় এই বিশেষ ধরনের ইনকিউবেটর তৈরি করা হয় মেলে সাফল্য।
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
হাজার চেষ্টা করেও বাড়ছিল না ময়ূরের সংখ্যা! এবার মোক্ষম দাওয়াই বন দফতরের, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে জাতীয় পাখি
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement