হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
দু' বছরের শিশুকন্যার পেটে দেড় কেজির টিউমার! অবাক চিকিৎসকরাই,অস্ত্রোপাচারে রক্ষা

Purba Bardhaman: দু' বছরের শিশুকন্যার পেটে দেড় কেজির টিউমার! অবাক চিকিৎসকরাই, অস্ত্রোপাচারে বাঁচল প্রাণ

বর্ধমান মেডিক্যালে শিশুর জটিল অস্ত্রোপচার৷

বর্ধমান মেডিক্যালে শিশুর জটিল অস্ত্রোপচার৷

প্রায় দেড় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর শিশুটির পেট থেকে বিশালাকার টিউমারটি বের করা হয়। শিশুটি আপাতত সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে।

  • Share this:

বর্ধমান: ফুলে যাচ্ছিল দু' বছরের শিশুকন্যার পেট। সে কারণে নানান সমস্যা হচ্ছিল তার। পেটের স্ক্যান করতেই চক্ষু চড়কগাছ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকদের।

এত ছোট এক শিশুর পেটে এত বড় টিউমার! তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করে সেই টিউমার বের করা হয়েছে।  দু'বছরের শিশুকন্যার পেট থেকে প্রায় দেড় কেজি ওজনের টিউমার বের করলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের পর শিশুটি আপাতত সুস্থ আছে বলে চিকিৎসকদের দাবি।

শিশুটির বাড়ি কালনার কালীনগরে। গত প্রায় ছ'মাস ধরে সে পেটের সমস্যায় ভুগছিল। তার পেট ফুলে যাচ্ছিল। কালনা মহকুমা হাসপাতালে দেখানোর পর শিশুটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। গত বুধবার শিশুকন্যাটিকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সিটি স্ক্যানে টিউমারের বিষয়টি ধরা পড়ে। সারা পেটজুড়েই টিউমারের অস্তিত্ব পাওয়া যায়। সেটি পাকস্থলীর সঙ্গে বিপজ্জনকভাবে জুড়ে ছিল। সে কারণে চিকিৎসকরা তড়িঘড়ি অস্ত্রোপচার করার সিদ্ধান্ত নেন।

আরও পড়ুন: নাবালিকাকে দিনের পর দিন ধর্ষণ করত প্রতিবেশী, অবশেষে গ্রেফতার অভিযুক্ত

প্রায় দেড় ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর শিশুটির পেট থেকে বিশালাকার টিউমারটি বের করা হয়। শিশুটি আপাতত সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে। তাকে পেডিয়াট্রিক ইনসেন্টিভ কেয়ার ইউনিটে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এই অস্ত্রোপচারের জেরে শিশু কন্যাটি সুস্থ হয়ে ওঠায় খুশি তার আত্মীয় পরিজনেরা।

আরও পড়ুন: বর্ধমান মেডিক্যালে ছাত্র ভর্তির নামে প্রতারণা, পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার চার

চিকিৎসক অরিন্দম ঘোষ বলেন, 'বড়দের ক্ষেত্রে এই রোগ দেখা গেলেও বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই রোগ বিরল। এই বয়সে পেটের মধ্যে এত বড় টিউমার অস্ত্রোপচারে বেশ ঝুঁকি ছিল। বিশেষ টিম তৈরি করে সতর্কতার সঙ্গে এই অপারেশন করা হয়। সকলের প্রচেষ্টায় এই সাফল্য এসেছে।'

শিশুকন্যার বাবা জসিম শেখ বলেন, 'কালনায় দেখানোর পর সেখানকার চিকিৎসকরা মেয়েকে বর্ধমানে নিয়ে আসতে বলেন। ১০দিন এখানে আছি। মেয়ে এখন ভাল আছে। এখানকার চিকিৎসকরাই ওকে বাঁচিয়েছেন।' বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ তথা শিশু বিশেষজ্ঞ কৌস্তভ নায়েক বলেন, 'অপারেশনটি বেশ জটিল। চিকিৎসকরা ভালো কাজ করেছেন।'

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Burdwan, Purba bardhaman