ঝাড়গ্রাম: খিদে বড় বালাই। আর সেই খিদের চোটেই দলছুট হাতি সোজা পৌঁছে গেল রাইস মিলে। শুঁড় দিয়ে টেনে ভেঙে ফেলল লোহার দরজা। এরপর ঢুকে পড়ল রাইস মিলের ভিতরে। পরের পর্বটা শুধুই ভোজনের। মনের আয়েশে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে খেল বস্তা বস্তা চাল ও ময়দা!
ঝাড়গ্রামের বেলদার একটি রাইস মিলে এভাবেই সাতসকালে তাণ্ডব চালাল দলছুট দাঁতাল। সেখানে রাখা চাল ও ময়দার প্রায় সব বস্তাই লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছে সে। আগের দিন সন্ধেয় গজাশিমুল এলাকার একটি রাইস মিলেও একইভাবে হানা দিয়েছিল হাতিটি। তবে শুধু রাইস মিল নয়, ঝাড়গ্রাম জেলাজুড়ে ক্রমশ হাতির উৎপাত বাড়ছে। বস্তুত গোটা জঙ্গলমহলজুড়েই ব্যাপক উৎপাত শুরু করেছে হাতি। তাদের হানায় বাড়ি ভাঙছে, মাঠের ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। বিপুল আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণও যাচ্ছে মানুষের। চলতি সপ্তাহেই ঝাড়গ্রাম জেলায় হাতির আক্রমণে চারজনের মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্য করে কলেজের ইউনিয়ন রুমের দখল টিএমসিপি-র, উত্তেজনা ফকিরচাঁদে
বন দফতর কেন হাতির হানা ঠেকাতে পারছে না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ঝাড়গ্রামের মানুষ রীতিমত প্রাণ ভয়ে দিন কাটাচ্ছেন। পাশাপাশি হাতির হানায় কেউ মারা গেলে বা ফসলের ক্ষতি হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম আছে। কিন্তু বন দফতর থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। এই পরিস্থিতিতে হাতির হানা ঘিরে ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে জঙ্গলমহলে।
রাজু সিং
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Elephant Attack, Jhargram news