হোম /খবর /দক্ষিণবঙ্গ /
বেড়েই চলেছে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা, অ্যাডিনো আতঙ্কে নতুন ব্যবস্থা বর্ধমানে

Adenovirus news: বেড়েই চলেছে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা, পরিস্থিতি সামাল দিতে নতুন দু'টি ওয়ার্ড খুলছে বর্ধমান মেডিক্যালে

বর্ধমান মেডিক্যালে বাড়ছে অসুস্থ শিশুদের ভিড়৷

বর্ধমান মেডিক্যালে বাড়ছে অসুস্থ শিশুদের ভিড়৷

শিশুদের চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামোর খোঁজ নিতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। 

  • Share this:

বর্ধমান: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে আসা শিশুদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। অনেকেরই জ্বর, সর্দি, কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্টও রয়েছে। বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্র, মহকুমা হাসপাতাল, বেসরকারি নার্সিংহোম থেকে আক্রান্ত শিশুদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে এই হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড চাপ বাড়ছে। বেডের তুলনায় শিশুর সংখ্যা বেশি হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে শিশুদের জন্য আরও দুটি ওয়ার্ড খুলছে বর্ধমান মেডিক্যাল।

বর্ধমান মেডিক্যালে বর্তমানে দুশোর বেশি শিশু ভর্তি আছে। তাদের ৪০ শতাংশের অ্যাডিনো ভাইরাসের উপসর্গ রয়েছে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল তথা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কৌস্তভ নায়েক বলেন, জায়গা না থাকায় কিছু বেডে দুটি করে শিশু রাখতে হচ্ছে। তাতে ভাইরাস জনিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই রাধারানি ভবনে শিশুদের জন্য আরও দু'টি ওয়ার্ড খোলা হচ্ছে। এখন শিশু বিভাগে ১৮৪টি বেড রয়েছে। আরও ৪৮টি বেড বাড়ানো হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ক্রমেই থাবা বসাচ্ছে অ্যাডিনোভাইরাস, বৃহস্পতিবারই তিন শিশুর মৃত্যু! শহর থেকে জেলা

শিশুদের চিকিৎসা সংক্রান্ত পরিকাঠামোর খোঁজ নিতে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়েছিলেন রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।  কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করার পরে তিনি বলেন, শ্বাসকষ্টের উপসর্গ নিয়ে আসা শিশুরা যাতে ২৪ ঘণ্টা চিকিৎসা পায়, তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আক্রান্ত শিশুদের আত্মীয় পরিজনরা বলছেন, বেড বাড়ানোর পাশাপাশি শিশু বিভাগে চিকিৎসকের সংখ্যাও বাড়ানো প্রয়োজন। আক্রান্ত শিশুদের তুলনায় চিকিৎসকের সংখ্যা খুবই কম। হলে অনেক সময় আক্রান্ত শিশুদের নজর দাবিতে ফাঁক থেকে যাচ্ছে। এই সময় শিশু ওয়ার্ড  বাড়তি চিকিৎসক ও নার্সের ব্যবস্হা করা হোক। আক্রান্ত শিশুদের আত্মীয় পরিজনদের দাবি, শিশুরা কেমন রয়েছে তা জানতে সময় গড়িয়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রেই সেই সংক্রান্ত তথ্য মিলছে না। ফলে চরম উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনরাত কাটাতে হচ্ছে। এই সময় শিশুদের শারীরিক অবস্থার কথা জানাতে বিশেষ ডেস্ক চালু করুক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

Published by:Debamoy Ghosh
First published:

Tags: Burdwan, Purba bardhaman