বর্ধমান : মহম্মদবাজারে গুলিতে জখম শিক্ষক ধনা হাঁসদার মৃত্যু হল বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। বীরভূমের মহম্মদবাজারের হাবরাপাহাড়িতে শ্যুট আউটে জখম হন তিনি। তাঁর পিঠে গুলি লাগে। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল। মঙ্গলবার পিঠ থেকে গুলি বের করা হলেও তাঁর একটি অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন ছিল। মঙ্গলবার রাতে সেই অস্ত্রোপচার চলাকালীন তাঁর মৃত্যু হয়। ওই গুলি চালানোর ঘটনায় মহম্মদবাজারে ধানু শেখ নামে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। তিনি পাথর খাদানের ড্রিলম্যান ছিলেন।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রাথমিক শিক্ষক ধনা হাঁসদাকে প্রথমে সিউড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। পরে সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর সঙ্গে থাকা স্থানীয়রা জানিয়েছেন, শীতের পোশাক পরে সাইকেলে এসেছিল এক দুষ্কৃতী। অভিযোগ, গুলি করেই সাইকেল ফেলে সে চম্পট দেয়। গুলির খোল, সাইকেল ও শীতের পোশাক সংগ্রহ করেছে পুলিশ । তবে অভিযুক্তের নাম পরিচয় জানা যায়নি। কেন এই খুন তা নিয়ে ধোঁয়াশায় রয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : ফের বাঘের সংখ্যা জানতে ক্যামেরা বসানো হচ্ছে সুন্দরবনের জঙ্গলে
শিক্ষক ধনার সঙ্গে বন্ধুত্ব ছিল ড্রিলম্যান ধানুর। সন্ধ্যায় পাড়ার একটি ক্লাবে পাশে দুই বন্ধু বসে ছিলেন। দুজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন এক ব্যক্তি। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি গ্রামের বাসিন্দা নন। অভিযোগ, ধনাবাবুর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হচ্ছিল। সে কোথা থেকে এসেছিল, কাদের বাড়িতে উঠেছে, তা জানতে চেয়েছিলেন শিক্ষক। কিছুক্ষণ পরই বাসিন্দারা পর পর দুটি গুলির শব্দ শুনে ছুটে এসে দেখেন ধানুর বুকে গুলি লেগেছে। একটু দূরেই গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক ধনা হাঁসদা। ওই দুষ্কৃতী সাইকেল মাফলার জুতো ফেলে ঢোলকাটা এলাকা হয়ে ঝাড়খণ্ডে চলে গিয়েছে চলে যায় বলে বাসিন্দাদের অনুমান।
আরও পড়ুন : দুই মেদিনীপুরে লিগ্যাল ডেস্ক চালু করছে তৃণমূল কংগ্রেস
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানীয়রা বলছিলেন, ঘটনার দিন বিকেলে ওই দুষ্কৃতীকে গ্রামে ঘোরাফেরা করতে দেখা যাচ্ছিল। কিন্তু সে কেন গুলি করে দুজনকে খুন করল, তা বুঝে ওঠা যাচ্ছে না। তবে পাথর খাদান সংক্রান্ত কোনও বিবাদ থেকে এই খুন কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Birbhum, Burdwan Medical College