Birbhum News: স্কুলের শিক্ষককে ‘যোগ্য’ প্রমাণ করতেই হবে, অনন্য পদক্ষেপ স্কুল কর্তৃপক্ষের

Last Updated:

নিরঞ্জনের এই লড়াইয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সর্দার ইলিয়াস। স্কুলের মধ্যেই তাঁর থাকা, খাওয়া এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি

+
গণিতের

গণিতের শিক্ষক

বীরভূম: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ২০১৬ সালের এসএসসির প্যানেল বাতিল হয়, বাতিল হয় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি। শুধুমাত্র বীরভূমের নলহাটির সোমা দাসের চাকরি বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমা দাস ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ায় মানবিকতার দিক থেকে তাঁর চাকরি বহাল রাখা হয়েছে।  সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে বাকিদের মতোই চাকরি হারিয়েছেন বীরভূমের নলহাটির মেহেগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয়ের গণিতের শিক্ষক নিরঞ্জন পাল।চাকরি বাতিল হওয়ার খবর পেতেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে শুরু হয় কান্নার রোল। প্রিয় শিক্ষককে কোনওভাবেই স্কুল থেকে যেতে দেওয়া হবে না, শিক্ষককে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙে পড়ে পড়ুয়ারা। সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল।একজন শিক্ষকের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের এতটা ভালোবাসা দেখে আপ্লুত হয়ে যান নেটিজেনরা।
তবে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আপাতত ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকারা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজের স্কুলে ক্লাস করাতে পারবেন। তবে এরই মধ্যে নতুন করে পরীক্ষায়ও বসতে হবে তাঁদের। আর তাই স্কুলের ‘যোগ্য’ শিক্ষক যাতে হেরে না যান, তাই নিরঞ্জন পালের সঙ্গে লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন তাঁর স্কুলের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা। স্কুলের মধ্যেই নিরঞ্জনের থাকা,খাওয়া এবং পড়াশোনার বন্দোবস্ত করেছেন সহকারী প্রধান শিক্ষক সর্দার ইলিয়াস। একদিকে ছাত্র-ছাত্রীদের ক্লাস করাচ্ছেন,  পাশাপাশি স্কুলের মধ্যেই নিজেকে ‘যোগ্য’ প্রমাণ করার লড়াইয়ে জিততে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
advertisement
নিরঞ্জনের এই লড়াইয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সর্দার ইলিয়াস। স্কুলের মধ্যেই তাঁর থাকা, খাওয়া এবং পরীক্ষার প্রস্তুতি নেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন তিনি। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সর্দার ইলিয়াস বলেন, ‘নিরঞ্জন পাল প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকতার পর হাইস্কুলে পড়াতে এসেছিলেন। নিরঞ্জন ছাত্র-ছাত্রীদের যেভাবে গণিতে পারদর্শী করে তোলেন, তাতে উনি যোগ্য না অযোগ্য, সেই প্রশ্ন তোলারই কোনও প্রশ্ন ওঠে না। কিন্তু নিজেকে ‘যোগ্য’ প্রমাণ করতে ওকে ফের পরীক্ষায় বসতে হবে। ওকে জিততেই হবে। এটা আমার কাছেও বিরাট একটা চ্যালেঞ্জ।”
advertisement
advertisement
সর্দার ইলিয়াস আরও জানান, ” নিরঞ্জন পাল একবার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গেলে ওকে ফের এই স্কুলেই ফিরিয়ে নিয়ে আসার জন্য আবেদন করব।” জানা গিয়েছে, স্কুলের একটি রুমে লাইট, ফ্যান, চেয়ার-সহ যা যা প্রয়োজন তা রাখা হয়েছে। একটা পড়ার টেবিলও কিনে দেবেন সহকারী প্রধান শিক্ষক নিজেই। স্কুল থেকে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার দূরে ময়ূরেশ্বরের ছোটতুড়ি গ্রামে নিরঞ্জন পালের বাড়ি।বর্তমানে নিরঞ্জন পাল স্কুলের দুটি ক্লাসে পড়াচ্ছেন, বাকি সময়টা পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”
advertisement
সৌভিক রায়
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Birbhum News: স্কুলের শিক্ষককে ‘যোগ্য’ প্রমাণ করতেই হবে, অনন্য পদক্ষেপ স্কুল কর্তৃপক্ষের
Next Article
advertisement
মৃত্যুর ধারাবাহিকতা! শুধুমাত্র প্রেসক্রিপশনেই দেওয়া হবে কাশির সিরাপ, ভুল নয়! জানুন বিশদে
মৃত্যুর ধারাবাহিকতা! শুধুমাত্র প্রেসক্রিপশনেই দেওয়া হবে কাশির সিরাপ, ভুল নয়! জানুন বিশদে
  • কেন্দ্র দূষিত কাশির সিরাপের কারণে মৃত্যুর পর কাশির সিরাপ প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রি নিষিদ্ধ করতে চলেছে.

  • ডিসিসি প্রস্তাব করেছে কাশির সিরাপকে শিডিউল কে তালিকা থেকে বাদ দেওয়া উচিত, যা লাইসেন্স ছাড়া বিক্রি হয়.

  • মধ্যপ্রদেশে দূষিত কাশির সিরাপের কারণে শিশুদের মৃত্যুর পর WHO সতর্কতা জারি করেছে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement