#ভগবানপুর: প্রচণ্ড ঘামছিলেন তিনি। তাই পাশের দোকানে টেবিল ফ্যানের হাওয়ার সামনে গিয়েছিলেন। কিন্তু কে জানত, সেখানে সাক্ষাত্ মৃত্যু অপেক্ষা করে রয়েছে! এক মিনিটে সব শেষ।
মর্মান্তিক মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃত যুবকের প্রাণ ফেরাতে মৃতদেহ বালি চাপা দিয়ে মাটির নিচে পুঁতে রাখলেন পরিবারের লোকজন! ভগবানপুরের ঘটনা। টেবিল ফ্যানে বিদ্যুতপৃষ্ঠ হয়ে যুবকের মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য।
আরও পড়ুন- মর্মান্তিক! জামাইষষ্ঠীতে যাচ্ছিলেন দম্পতি, তারপরে যা হল তাঁদের সঙ্গেজামাইষষ্ঠীর সকালে মাংস বিক্রেতা যুবকের মৃত্যুতে জোর শোরগোল এলাকায়। জামাইষষ্ঠী থাকায় মাংস বিক্রেতা বিশ্বজিতের আজ চরম ব্যস্ততা ছিল। সকাল সকাল তাই দোকান খুলে ফেলেছিলেন তিনি। মাংস কাটার প্রস্তুতি সেরে রেখে পাশের দোকানে চা খেতে গিয়েছিলেন। সেখানেই ঘটে গেল ভয়ঙ্কর দূর্ঘটনা।
বিদ্যুতপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয় বছর তিরিশের যুবক বিশ্বজিত দাসের। ভগবানপুরের গোয়ালাপুকুর বাজারের এই ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
মৃত বিশ্বজিৎ দাসের বাড়ি মহম্মদপুর গ্রামে। স্থানীয় মানুষজন ঘাতক নামে তাঁকে ডাকতেন। দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই কান্নায় ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার।
আরও পড়ুন- পড়তে গিয়েছিল নাবালিকা, তারপরেই যা ঘটল তার সঙ্গেএর পরই প্রাণ ফিরে পেতে বিশ্বজিতের মৃতদেহ বেশ কিছু সময় বালির মধ্যে পুঁতে রেখেছিল তাঁর পরিবার পরিজন। শেষ পর্যন্ত ভগবানপুর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে।
জানা গিয়েছে, প্রচণ্ড গরমে ঘামে ভিজে যাচ্ছিলেন বিশ্বজিত। তাই পাশের চায়ের দোকানে থাকা টেবিল ফ্যান চালাতে গিয়েছিলেন। সেই ফ্যানে আগে থেকেই যান্ত্রিক সমস্যা ছিল। সেটা জানা ছিল না বিশ্বজিতের। ফলে মুহূর্তের মধ্যেই বিদ্যুতপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। জামাইষষ্ঠীর দিনে শোকের ছায়া ভগবানপুর জুড়ে।
এলাকার তরতাজা যুবকের এমন করুণ পরিণতি কেউ মেনে নিতে পারছেন না। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে গেল। কেউ যেন বিশ্বাসই করতে পারছেন না। টেবিল ফ্যান যে এভাবে কারও প্রাণ কেড়ে নিতে পারে, বিশ্বাস করতে পারছেন না এলাকার লোকজন। বিশ্বজিতের পরিবারের লোকজন শোকে পাথর হয়ে গিয়েছেন।নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Accident, Bhagwanpur, Jamaisashti