ফেসবুক লাইভ করে আত্মহত্যা বিজেপি কর্মীর, বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড়

Last Updated:

Bengal Bjp: অভিষেকের পরিবার তখনও জানত না কী ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এরপর দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
#চুঁচুড়া: হুগলির চুঁচুড়া পৌরসভা তিন নম্বর ওয়ার্ডের কেওটা মিলিটারি কলোনির বাসিন্দা অভিষেক চৌধুরী (২৮) সোমবার ভোর রাতে নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি বিজেপির সক্রিয় কর্মী ছিলেন। মৃত্যুর আগে ফেসবুক লাইভে বিজেপি কর্মী অভিযোগ করেন তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। তিনি বিজেপি করেন বলেই তিনি অত্যাচারিত বলে অভিযোগ করেন। স্থানীয় 'আমরা কজন' ক্লাবের সম্পাদক কুনাল সরকারের বিরুদ্ধে ছিল তাঁর অভিযোগ। তাকে ভয় দেখানো হয়েছে, তাঁর পরিবারকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে, তাই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছেন। সেই লাইভ ভিডিও দেখে বন্ধুরা সকালবেলা তার বাড়িতে হাজির হয়।
অভিষেকের পরিবার তখনও জানত না কী ঘটনা ঘটে গিয়েছে। এরপর দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ বিষয়ে স্থানীয় ক্লাব সম্পাদক কুনাল সরকার কিছু বলতে চাননি। তবে ওই ক্লাবের সদস্য পঙ্কজ দাস বলেন, ''কুনাল অত্যন্ত ভাল ছেলে আর এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে সে যুক্ত নয়। কী হয়েছিল, অভিষেক যে অভিযোগ করছে, তা আমরা জানি না। আমাদের ক্লাবের সঙ্গে ওর দাদা যুক্ত।''
advertisement
advertisement
এই বিষয়ে পরিবারের তরফ থেকেও কিছু বলা হয়নি। মৃত অভিষেক চৌধুরীর দাদা রাজু চৌধুরী চুঁচুড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ জানিয়েছে নির্দিষ্ট করে কারও নামে নয়। তবে, একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে, সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।
advertisement
বিজেপি হুগলি সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, ''অভিষেক হুগলি মন্ডলের দীর্ঘদিনের পুরোনো কর্মী ছিল। আমরা জানতে পেরেছি, ওকে কয়েক দিন ধরে মানসিকভাবে নির্যাতন করা হচ্ছিল। আমরা পুলিশ-প্রশাসনের কাছে আবেদন করব ঘটনার যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। আমরা দলীয় ভাবে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।''
advertisement
ফেসবুক লাইভে অভিষেক চুঁচুড়ার বিধায়কের কাছেও বিচার চেয়েছেন। চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার বলেন, ''বিজেপি তৃণমূল কংগ্রেস সিপিএম যে কোনও দল করা গণতান্ত্রিক অধিকার। কেউ বিজেপি করলে তাকে যদি কেউ হুমকি দিয়ে থাকে, সেটা খুবই লজ্জাজনক। এটা ঘটা উচিত নয়। যে কোন দলের কোনো মানুষ যদি আমার সাহায্য চেয়েছে, আমি তার পাশে দাঁড়ায়নি এমনটা হয়নি। আমার দল তৃণমূল কিন্তু আমি তো বিধায়ক সবার। যদি কেউ হুমকি দিয়ে থাকে তাহলে উচিত ছিল থানায় অভিযোগ করা। থানায় অভিযোগ হয়েছিল কিনা আমি জানি না। আর আমি বিধায়ক হিসেবেও আমার কাছে কেউ এসে এ বিষয়ে কিছু জানায়নি। যে কোনও মৃত্যুই দুঃখজনক আমি ওর পরিবারের পাশে আছি।''
advertisement
---সৈকত বিশ্বাস
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
ফেসবুক লাইভ করে আত্মহত্যা বিজেপি কর্মীর, বিস্ফোরক অভিযোগে তোলপাড়
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement