শরদিন্দু ঘোষ, বর্ধমান: বাড়ি তৈরির জন্য আড়াই কাঠা জমি পাট্টা পাবেন বাসিন্দারা। চাষের জন্য পাট্টা দেওয়া হবে পাঁচ কাঠা করে জমি। মুখ্যমন্ত্রীর হাত দিয়ে এক হাজার জনকে পাট্টা দিচ্ছে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন। ২ ফেব্রুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় বৈঠক করতে আসছেন। বর্ধমানের গোদা এলাকার মাঠের সভাস্থল থেকেই এই পাট্টা উপভোক্তাদের হাতে তুলে দেবেন তিনি। সেইসঙ্গে ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজ্যের অন্যত্র পাট্টা দেওয়ার কর্মসূচির সূচনা করবেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, সরকার চায় প্রত্যেক বাসিন্দার মাথায় পাকা ছাদ হোক। সেই কারণে কারও জমি না থাকলে তাঁকে পাট্টা দেওয়া হচ্ছে। আবেদনকারীদের নথি ঠিক থাকলে পাট্টা পেতে সমস্যা হয় না। এ বছর রেকর্ড সংখ্যক উপভোক্তা পাট্টা পাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী ২ ফেব্রুয়ারির সভা থেকে পাট্টা দেওয়া ছাড়াও অন্যান্য প্রকল্পেরও সুবিধা দেবেন। প্রতিটি ব্লকের আলাদা আলাদা স্টল থাকছে। সেখান থেকে পাট্টার নথি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী কয়েকজনকে মঞ্চ থেকে পাট্টার নথি দেবেন।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, ‘‘বাড়ির জন্য আড়াই কাঠা জমি পাট্টা দেওয়া হয়। এই পরিমাণ জায়গায় ভালভাবেই বাড়ি তৈরি করা যায়। পাট্টার জমি থাকলে আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি পেতে সমস্যা হবে না। চাষের জন্য প্রতি উপভোক্তাকে পাঁচ কাঠা জমি পাট্টা দেওয়া হয়। আমাদের সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে। অনেকেই পাট্টা পেয়ে বাড়ি পেয়েছেন। আগে পাট্টা দেওয়ার ক্ষেত্রে রাজনীতির রং দেখা হত। এখন সেসব হয় না। প্রকৃত গরিবরা জমি পান ৷’’
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চাষ ও বাড়ি তৈরির জন্য জমি দেওয়া হবে। পাট্টার নথি পাওয়ার পর উপভোক্তারা সেই জায়গায় বাড়ি করতে পারবেন। আবাস যোজনা প্রকল্পে সরকারও বাড়ি তৈরি করে দেবে। এবারই সবচেয়ে বেশি উপভোক্তার হাতে পাট্টার দলিল দেওয়া হচ্ছে। এবার দুয়ারে সরকার প্রকল্পেও পাট্টার জন্য আবেদনপত্র জমা নেওয়া হয়েছিল। প্রতিটি জেলাতেই উপভোক্তারা আবেদন করেন। পূর্ব বর্ধমানেও কয়েকশো আবেদনপত্র জমা পড়েছিল।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bardhaman, Bardhaman news