#বীরভূম: বীরভূমের মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের সভাপতির স্বামীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য। নিজের বাড়ি থেকেই দেহ উদ্ধার হয় ওই ব্যক্তির। পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। বেশ কয়েকদিন থেকেই স্বামীর থেকে আলাদা ছিলেন শম্পা মাহারা নামে তৃণমূলের সভাপতি। কয়েক সপ্তাহ আগে শম্পার স্বামী রবি মাহারা ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। কয়েকদিন আগে হাসপাতাল থেকে ছুটি পেয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। (Bangla News)
এরপর বাড়িতে ফিরে এই ঘটনা। মৃতের দাদা জানিয়েছেন পারিবারিক বিবাদের জেরেই এই ঘটনা। শম্পা মাহারা জানিয়েছেন বিয়ের ১৪ বছর ধরে শাশুড়ির সঙ্গে সমস্যা হয়ে আসছে। গত কয়েক মাস ধরে তিনি আলাদা রয়েছেন। অশান্তি চরমে উঠেছিল। পারিবারিক এই অশান্তির কারণেই দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই ব্যক্তি। রবিবার তাঁরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল ঘর থেকে। এর পিছনে আর কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: রাজ্যে দু'হাজার মহিলা কনস্টেবল নিয়োগের সিদ্ধান্ত, জানুন বিস্তারিত
কয়েকদিন আগেই পারিবারিক বিবাদের জেরে জামাইয়ের হাতে খুন হতে হয় শাশুড়িকে। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে বীরভূমের নানুর থানার অন্তর্গত মড্ডা গ্রামে। মৃতের নাম মাফুজা বিবি। বয়স ৬০ বছর। অন্যদিকে, এই ঘটনায় অভিযুক্ত জামাইয়ের নাম কাশেম শেখ। বাড়ি ময়ূরেশ্বরে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মাফুজার একমাত্র মেয়ে রুবির সঙ্গে বিয়ে হয় ময়ূরেশ্বরের কাশেম শেখের। তাদের দুই ছেলে মেয়ে বর্তমান। মাফুজার স্বামী মারা যাওয়ার পর রুবি মায়ের সঙ্গেই বাড়িতে থাকতেন।
আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ে মন মজেছে করিনার! পথের ধারে যা খেলেন, সক্কলে তো অবাক
অভিযোগ, কাশেম শেখ কোনও কাজ করতেন না। এমনকী, মদ্যপ অবস্থায় বাড়িতে এসে হামেশাই ঝামেলা করতেন। এই নিয়ে পারিবারিক অশান্তি লেগেই থাকত। অন্যদিকে, এই অশান্তির কারণে গত তিন মাস আগে রুবির সঙ্গে আইনত বিবাহ বিচ্ছেদ হয় কাশেমের। প্রথমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রুবিকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে কাশেম। সেই সময় তাঁর মেয়ে তাঁকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে সেও আহত হয়। তাঁর চিৎকার শুনে মাফুজা ছুটে এলে তাদেরকে ছেড়ে কাশেম আক্রমণ করে শাশুড়িকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bangla News, Birbhum news