#আসানসোল: লড়েননি পুরভোটে! নির্বাচনে না লড়লেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসানসোলের মেয়র করেছিলেন বিধান উপাধ্যায়কে। দলনেত্রীর তরফে নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আসানসোল পুর নিগমের মেয়রের দায়িত্ব সামলে আসছিলেন বিধান উপাধ্যায়। তবে নিয়ম অনুযায়ী মানুষের ভোটে জিতে আসতেই হবে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে। নির্দিষ্ট একটি সময়ের মধ্যে যেকোনও একটি ওয়ার্ড থেকে জয়যুক্ত হয়ে মেয়র পদের দায়িত্ব সামলানোই বিধি। সূত্রের খবর, আসানসোল পুরনিগমের ছয় নম্বর ওয়ার্ড জামুড়িয়া থেকে তাই উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান মেয়র বিধান উপাধ্যায়। উপনির্বাচনের দিনক্ষণ এখনও নির্দিষ্ট না জানা গেলেও ২১ অগাস্ট দিনটিকে ধরেই এগনো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সূত্র। শীঘ্রই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতে চলেছে।
আরও পড়ুন- বিক্ষোভস্থলে আটক রাহুল গান্ধি! "ভারত পুলিশ রাষ্ট্র, মোদি তার রাজা," কটাক্ষ নেতার
অপ্রত্যাশিতভাবেই আসানসোল পুরনিগমের মেয়র হয়েছিলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত আসানসোল পুরনিগমের তিনি তৃতীয় মেয়র। তবে, বিধান নিজে আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ভোটারই নন। তিনি বারাবনির ভোটার। বর্তমানে তিনি থাকেন আসানসোলের সৃষ্টি নগরে। এবারের পুর নির্বাচনে তাই স্বাভাবিক ভাবেই তিনি লড়াই করেননি। এমনকি মেয়র হওয়ার দৌড়েও বিধান উপাধ্যায়ের নাম শোনা যায়নি। সম্প্রতি পুরসভার যে ক’টি নির্বাচন হয়েছিল তার মধ্যে অন্যতম ছিল আসানসোল। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে পুরসভা দখল করে তৃণমূল। আসানসোল পুরনিগমের ১০৬ টি ওয়ার্ড। দলীয় সূত্রের খবর, জামুড়িয়া অঞ্চলের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের যিনি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি তাঁকে পদত্যাগ করিয়ে সেই ওয়ার্ড থেকেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন বিধান উপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- মুখের লোম নিয়ে নেই আক্ষেপ, সমাজের 'ব্যঙ্গ'কে উড়িয়ে গোঁফ রাখলেন এই মহিলা!
পুর আইনে বলা রয়েছে, যে কেউ পুরনিগম বা পুরসভার কোনও প্রশাসনিক পদে বসতে পারেন। সেক্ষেত্রে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ভোটার বা কাউন্সিলর হতে হবে না। এক্ষেত্রে ৬ মাসের মধ্যে তাঁকে কোনও ওয়ার্ড থেকে জিতে আসতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের জমানায় এই মর্মে এর আগের বিধান সভায় একটি সংশোধনী আনা হয়। তা পাশ হয়ে আইনে রূপান্তরিত হয়। নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও উপনির্বাচন না হওয়ায় বিরোধীরা বারবারই অভিযোগ তুলছিলেন। আসানসোল পুরনিগমের বিরোধী বিজেপি নেত্রী চৈতালি তিওয়ারি সম্পূর্ণ পুরবোর্ড গঠন না হওয়ার ব্যাপারে সরব হয়ে রাজ্যপাল থেকে শুরু করে আদালতেরও দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
জন্মদিনেই অপ্রত্যাশিত উপহার পেয়েছিলেন বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ১৮ ফেব্রুয়ারি আসানসোলের মেয়র হিসেবে বিধান উপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করেছিলেন ফিরহাদ হাকিম। বিধান উপাধ্যায় তিনবারের বারাবনির বিধায়ক। পাশাপাশি তিনি বর্তমানে দলের জেলা সভাপতিও।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।