বেলগ্রাম: বড়ঞা থানার বেলগ্রামের বাসিন্দা সীমা খাতুন। ২৭শে ডিসেম্বর একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম দেন তিনি। কিন্তু ৯১ দিন ধরে যমের সঙ্গে লড়াই করে অবশেষে মায়ের কোলে ফিরল শিশু।
প্রসবের নির্ধারিত সময়ের আগেই মাত্র ২৭ সপ্তাহে ওই শিশুর জন্ম হওয়ায় ওজন হয় মাত্র ৭০০ গ্রাম। যা স্বাভাবিকের থেকে অনেকটাই কম। সাধারণত সদ্যোজাত সন্তানের ওজন হয় আড়াই কিলো।
এর পর কান্দি মহকুমা হাসপাতালের এস এন সি ইউ বিভাগে শুরু হয় ওই নবজাতকের চিকিৎসা। ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার পদ্ধতিতে চিকিৎসা চলতে থাকে। অর্থাৎ ঠিক ক্যাঙ্গারুরা যেমন তার সন্তানকে বুকের মধ্যে নিয়ে রাখে, ঠিক সেইভাবেই সদ্যজাতকে তার মা বুকের মধ্যে প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা নিয়ে রাখেন।
আরও পড়ুন- সিঙ্গুর আন্দোলনের সেই পতাকা আজও কাঁধে বয়ে বেড়াচ্ছেন কাশীনাথ
মঙ্গলবার হাসপাতালের চিকিৎসকরা একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সদ্যজাতকে তাঁর মায়ের কোলে তুলে দেয় বাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য। সুস্থ সন্তানকে বাড়ি নিয়ে যেতে পেরে খুশি মা সীমা খাতুন।
৯১ দিন ধরে চিকিৎসক থেকে সদ্যজাতের মা লড়াই চালিয়ে অবশেষে দেড় কিলো ওজন হওয়ার পর মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হল ৯১ দিনের নবজাতক শিশুকন্যাকে। সুস্থ বাচ্চাকে মায়ের কোলে তুলে দিতে পেরে খুশি চিকিৎসক থেকে পরিবারের লোকেরা।
মা সীমা খাতুন বলেন, হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসকদের জন্য আমার মেয়ে নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। আমি খুব খুশি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সৌমিক দাস বলেন, মাত্র ৭০০ গ্রাম ওজনের শিশুকে বাচানো আমাদের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ ছিল। ডাক্তারি ভাষায় এই ধরণের শিশুদের বলা হয় এক্সট্রেমলি লো বার্থ প্রিম্যাচিউর বেবি।
আরও পড়ুন- চাষের পদ্ধতিতে অভিনব আইডিয়া কাজে লাগালেন সিউরির ব্যক্তি, হচ্ছে লাভও
কান্দি মহকুমা হাসপাতালের এস এন সি ইউ বিভাগের উন্নত পরিকাঠামো ও ক্যাঙ্গারু মাদার কেয়ার পদ্ধতিতে ওই নবজাতক নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার বলেন, এই কান্দি মহকুমা হাসপাতালের সমস্ত চিকিৎসক ও নার্সদের অক্লান্ত পরিশ্রমে শিশুটি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে।
রাজ্য সরকারের তৎপরতায় স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নয়নে শিশু মৃত্যুর হার আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে বলে দাবি তাঁর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Doctors, New Born Baby