Tea Shop: দোকান আছে নেই দোকানদার! ক্রেতারা এসেই বানাচ্ছেন চা...৩০০ বছরের প্রাচীন দোকানের আয় হয় কীভাবে?
- Published by:Ankita Tripathi
- hyperlocal
- Reported by:Rahi Haldar
Last Updated:
Tea Shop: হুগলির শ্রীরামপুরে এমন এক চায়ের ঠেক রয়েছে যা দোকানদার ছাড়াই চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
হুগলি: বাঙালি চায়ের প্রতি যে কতটা আবেগপ্রবণ তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। আদি অনন্তকাল ধরে, দেশ কাল রাজ্য রাজনীতি সবকিছু নিয়েই বাঙালি তুমুল বিতর্কের ঝড় তোলে চায়ের ঠেকে। সকাল হোক কিংবা সন্ধ্যে নিয়মিত চায়ের ঠেকের আড্ডা কোনওমতে মিস করতে চায় না চা প্রেমী বাঙালি। কারণ চা ও চায়ের সঙ্গে চায়ের আড্ডার ঠেক দুটোই সমান জরুরী। ঠিক তেমনি হুগলির শ্রীরামপুরে এমন এক চায়ের ঠেক রয়েছে যা দোকানদার ছাড়াই চলে আসছে বছরের পর বছর ধরে।
শ্রীরামপুর চাতরা কালি বাবুর শ্মশানের ঠিক বিপরীতে রয়েছে একটি চায়ের দোকান। দোকানের বয়স আনুমানিক ৩০০ থেকে ৩৫০ বছর। প্রাচীন কড়িবরগার ছাদ দেওয়া সেই দোকান। এক সময় সেটি বাজারের দোকান হিসেবে ব্যবহার হল দীর্ঘ ৮০-৯০ বছর ধরে ওই দোকানটি ব্যবহার হচ্ছে চায়ের দোকান হিসেবে।
advertisement
advertisement
কয়লার উনুনের চায়ের দোকানটিকে দেখলেই মনে হবে, আধুনিকতা ছেড়ে হঠাৎ করে কয়েক প্রজন্ম পিছনে চলে এসেছে মানুষজন। ঘটনাক্রমে চায়ের দোকানের ক্রেতা ও বিক্রেতাদের কার্যকলাপ ও কয়েক প্রজন্ম পিছনের মানুষদের মতন। কারণ দোকানে দোকানদার ছাড়াই চলে চায়ের বিক্রি। সন্ধ্যেবেলা চায়ের দোকানে আড্ডা এসে খোদ বিক্রেতারাই চা বানিয়ে নিজেরাই খেয়ে নেন। তবে চায়ের যা নির্ধারিত মূল্য হয় তা কিন্তু রেখে দিয়ে যান তারা ক্যাশ বক্স এর মধ্যে।
advertisement
চায়ের দোকানের নির্দিষ্ট কোন বিক্রেতা নেই। আসলে পুরো চায়ের দোকানটা চলে মানুষের ভালোবাসা দিয়ে। কারণ চায়ের দোকান কে এখানকার ক্রেতারা দোকান চায়ের দোকান হিসেবে নয় বরঞ্চ এক প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনে করেন। চায়ের দোকানের এক মালিক আছেন তবে তিনিও চাকুরীজীবি। সকালবেলা দোকান খোলেন অল্প কিছু সময় তিনি দোকানে থাকেন, তারপর অফিস চলে গেলে দোকান চালান অন্যান্য ক্রেতারা। নিজেরাই এসে চা তৈরি করেন সেই চান নিজেরাই পরিবেশন করেন।
advertisement
এই বিষয়ে একজন সেইসময়ের বিক্রেতা বলেন, আসলে তিনি চা বিক্রেতা নন তিনি ওই দোকানে চা খেতে আসেন প্রতিদিন। সন্ধ্যেবেলার এই সময়টা করে সেভাবে চা তৈরি করার কেউ থাকে না। সেই কারণে চা করার দায়িত্ব তিনি নিজেই তুলে নেন। অবসরপ্রাপ্ত জীবনে অনেকেই সন্ধ্যেবেলা আসেন সেখানে আড্ডা দিতে গল্প করতে। কখনও তিনি চা করেন কখনও বা তার বাকি সঙ্গীরা। এভাবেই চলে চায়ের দোকান। কারণ এভাবে যদি না চলতো তাহলে এতদিনে হয়তো সেই দোকান বন্ধ হয়ে যেত লোকের অভাবে।
advertisement
এ বিষয়ে একজন ক্রেতা যিনি চা খেতে এসেছিলেন তিনি বলেন, কম করে ৪০ বছর ধরে তিনি সেই দোকানে চা খাচ্ছেন। এখানে যারা সন্ধ্যে বেলা বা দিনের বেলায় আড্ডা জমান তারা সকলেই স্থানীয়। পাড়ায় একটি চায়ের দোকান যাকে ঘিরে মানুষের মধ্যে এক অন্য ধরনের ভালবাসা রয়েছে। তারা সেখানে বসে শুধু চা খান এমনটাই নয়, তারা সে চায়ের দোকান কেউ যথেষ্ট ভালবাসেন। সেই ভালবাসা দিয়েই প্রায় ৯০ বছর ধরে চলে আসছে নতুনের মধ্যে টুকরো পুরাতন শ্রীরামপুর চাতারার চায়ের এই দোকান।
advertisement
রাহী হালদার
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
December 03, 2024 8:34 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Tea Shop: দোকান আছে নেই দোকানদার! ক্রেতারা এসেই বানাচ্ছেন চা...৩০০ বছরের প্রাচীন দোকানের আয় হয় কীভাবে?