Tape Worm Control Tips: কৃমি কমাতে বাচ্চাকে দেদার কাঁচা পেঁপে খাওয়ালে অজান্তেই ডাকছেন বড় বিপদ! ক্ষতির ফাঁদ এড়িয়ে চলুন!
- Written by:Bangla Digital Desk
- news18 bangla
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
Last Updated:
Tape Worm Control Tips: আয়ুর্বেদে, কাঁচা পেঁপে হজমের জন্য উপকারী বলে বিবেচিত হয়। এতে উপস্থিত পাপাইন এনজাইম হজম ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে এবং ক্ষতিকারক অন্ত্রের কৃমিকে দুর্বল করতে সাহায্য করতে পারে। তবে, শিশুদের ক্ষেত্রে এটি অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত।
আজকাল ছোট বাচ্চাদের মধ্যে পেটের কৃমি একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে উঠছে। অস্বাস্থ্যকর পরিচ্ছন্নতা, বাইরে খাওয়া, কাদা খেলা এবং নিয়মিত হাত না ধোয়ার ফলে শিশুদের কৃমি হতে পারে। এর ফলে পেটে ব্যথা, ঘন ঘন বমি, ডায়রিয়া, ওজন হ্রাস এবং ক্ষুধা হ্রাস পেতে পারে। অনেক বাবা-মা কাঁচা পেঁপে সহ ঘরোয়া প্রতিকারের সন্ধান করেন।
advertisement
advertisement
শিশুদের কাঁচা পেঁপে কীভাবে দেবেন: বিশেষজ্ঞরা খুব ছোট বাচ্চাদের কাঁচা পেঁপে না দেওয়ার পরামর্শ দেন। সাধারণত, এটি শুধুমাত্র ৫ বছরের বেশি বয়সী শিশুদের সীমিত পরিমাণে দেওয়া যেতে পারে এবং শুধুমাত্র ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করার পরে। প্রথম পদ্ধতি হল কাঁচা পেঁপের রস। এর জন্য, কাঁচা পেঁপে কুঁচি করে রস বের করে নিন। ১/২ চা চামচ রস ২-৩ চা চামচ জলের সাথে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে শিশুকে দিন। এরপর, শিশুকে কিছু হালকা গরম জল দেওয়া যেতে পারে। এই পদ্ধতিটিকে হালকা বলে মনে করা হয়।
advertisement
আরও একটি পদ্ধতি হল সিদ্ধ কাঁচা পেঁপে। কাঁচা পেঁপে খুব ছোট ছোট টুকরো করে কেটে হালকা করে ফুটিয়ে নিন। ঠান্ডা হয়ে গেলে, আপনি আপনার শিশুকে ১-২টি ছোট টুকরো খাওয়াতে পারেন। এতে কাঁচা পেঁপের তীব্রতা কমবে। এই প্রতিকারগুলি ৩-৫ দিনের বেশি ব্যবহার করবেন না। যদি আপনি উন্নতি লক্ষ করেন, তাহলে মাঝখানে ২-৩ দিনের বিরতি নিন।
advertisement
advertisement
ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া শিশুদের কাঁচা পেঁপে দেবেন না। ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের জন্য এই প্রতিকারটি এড়িয়ে চলা উচিত। যদি আপনার শিশু বমি, ডায়রিয়া, তীব্র পেট ব্যথা, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া বা দুর্বলতা অনুভব করে, তাহলে অবিলম্বে ব্যবহার বন্ধ করুন। দীর্ঘ সময় ধরে বা প্রতিদিন এটি ব্যবহার করবেন না। যদি অতিরিক্ত কৃমি, দ্রুত ওজন হ্রাস, বা রক্তাল্পতার লক্ষণ থাকে, তাহলে ঘরোয়া প্রতিকারের উপর নির্ভর করবেন না এবং শিশু বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে তাৎক্ষণিক চিকিৎসা নিন।









