কাকদ্বীপ: হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন। তারপর মৎসজীবীরা পাড়ি দেবে গভীর সমুদ্রে। রুপালি শস্যের খোঁজে হাজার হাজার মৎসজীবী পাড়ি জমাবে সুদুর দক্ষিণে বঙ্গোপসাগরে। আর সেসময় যাতে কোনো বিপদ না ঘটে সেজন্য মৎসজীবীরা ফিশিং হারবারগুলিতে শুরু করল পূজা। প্রতিবছর মৎসজীবীরা সমুদ্রে যাওয়ার আগে পূজো করেন মা গঙ্গাকে। সঙ্গে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে চলে মনসা পূজো। মৎসজীবীরা মনে করেন গঙ্গা এবং মনসাপূজার মাধ্যমে তাদের অভিষ্ট সিদ্ধ হবে। সমুদ্র যাত্রায় রক্ষা পাবেন তারা। জালে উঠবে ভালো মাছ। সাধারণত বর্ষার শুরুতে গভীর সমুদ্রে যাত্রা করেন মৎসজীবীরা। সেসময় নদী উত্তাল থাকে।
নদী পেরিয়ে সমুদ্রেও দেখা যায় বড়ো বড়ো ঢেউ। ঢেউগুলি আছড়ে পড়ে ট্রলারগুলির গায়ে। এর ফলে ট্রলারডুবির মত মর্মান্তিক ঘটনাও ঘটে মাঝে মাঝে। তার উপর থাকে মাছ কম পাওয়ার সম্ভবনা। এক মরশুমে মাছ না আসলে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মৎসজীবিরা। অধিকাংশ মৎসজিবীরা দাদন নিয়ে মৎস আরোহণে যান। সেখানে মাছ না উঠলে খুবই ক্ষতির সম্মুখীন হন তাঁরা।
আরও পড়ুনঃ সাপের কামড়ে মৃত্যু নিয়ে সাগরে সচেতনতা শিবিরের আয়োজনসেজন্য সমস্ত বিপদ থেকে রক্ষা পেতে মৎসজীবীরা সমুদ্রে যাওয়ার আগেই এই পূজোর সম্পন্ন করেন। সমগ্র সুন্দরবন জুড়ে এই পূজোপালন করা হয় প্রবল উৎসাহ উদ্দীপনায়। মৎসজীবীদের এই পূজোয় স্থানীয় বাসিন্দারাও অংশগ্রহন করেন।
আরও পড়ুনঃ নারীশিক্ষার প্রসার ঘটাতে বেগম রোকেয়াকে নিয়ে 'স্মারক বক্তৃতা' অনুষ্ঠানমনসা ও গঙ্গামন্দিরে ভিড় করে পুজো দেন মৎসজীবীদের পরিবারের লোকজনও। বিশ্বাস গঙ্গাদেবী তুষ্ট হলে জালে মিলবে মাছ। রক্ষা পাওয়া যাবে দুর্ঘটনা থেকে। এভাবে বিশ্বাসের সঙ্গে ভক্তির মেলবন্ধনে মাছ ধরতে যাওয়ার আগে সমগ্র সুন্দরবন জুড়ে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ।
Nawab Mallickনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Bay Of Bengal, Fishing, South 24 Parganas