Siliguri News: সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে বিপাকে! বাড়ি থেকে উদ্ধার হল বিরল প্রজাতির কচ্ছপ ও টিয়াপাখি
- Written by:Bangla Digital Desk
- local18
- Published by:Arpita Roy Chowdhury
Last Updated:
Siliguri wild animal: সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট যে এমন বিপদে ফেলবে, ভাবতে পারেননি শিলিগুড়ির সংহতি মোড়ের বাসিন্দা বাপি দত্ত। বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়ামে দুটি কচ্ছপের বাচ্চা রেখেছিলেন। সেই কচ্ছপের বাচ্চা সহ একটি টিয়াপাখিও উদ্ধার করেছেন বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা।
অনির্বাণ রায়, শিলিগুড়ি : সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্ট যে এমন বিপদে ফেলবে, সেটা একেবারেই ভাবতে পারেননি শিলিগুড়ির সংহতি মোড়ের বাসিন্দা বাপি দত্ত। বাড়ির অ্যাকোয়ারিয়ামে দুটি কচ্ছপের বাচ্চা রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু তা কেউ টের পাননি। অন্তত বন দফতরের নজরের বাইরে ছিল বিষয়টি।
কিন্তু গোল বাধল তাঁর স্ত্রী সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দেওয়ায়। বিষয়টি বন দফতরের নজরে আসতেই তাঁর বাড়িতে বনকর্মীরা হানা দিলেন। দুটি কচ্ছপের বাচ্চার পাশাপাশি একটি টিয়াপাখিও উদ্ধার করেছেন বেলাকোবা রেঞ্জের বনকর্মীরা। বেলাকোবার রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্ত বলেন, ‘ফেসবুকের পোস্টটি দেখার পরই তা ডিএফওর নজরে আনা হয়। সূত্রের মাধ্যমে ফোন নম্বর জোগাড় করা হয়। এরপরই অভিযান চালানো হয়।'
advertisement
প্রসঙ্গত, এদিন বাপি দত্তের স্ত্রী মিতা দত্ত ফেসবুকে কচ্ছপ দুটি কিনেছেন বলে পোস্ট করেন। এই পোস্টটি বন দফতরের বেলাকোবা রেঞ্জ অফিসার সঞ্জয় দত্তের নজরে পড়ে । তিনি তারপর বিষয়টি ডি এফ ওর নজরে আনেন। ডি এফ ও তাকে জানান ওই কচ্ছপ ইন্ডিয়ান টেন্ট টাইটেল প্রজাতির যা বিক্রি বা পোষা যায় না ।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : মালদহের চাঁচলে পুলিশের জালে জলের পাইপ চুরির চক্র, গ্রেফতার ৪
তিনি এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেন । ডি এফ ওর নির্দেশে আদাজল খেয়ে ঘটনা তদন্তে নেমে পড়ে শিলিগুড়ি সংহতি মোড়ের বাপি দত্তের বাড়িতে হাজির হন বেলাকোবা রেঞ্জের বন কর্মীরা। জিজ্ঞাসাবাদে ঘরে কচ্ছপ রাখার বিষয়টি বাপিবাবু সম্পূর্ণ অস্বীকার বা করেন। এরপরই ঘর তল্লাশি করে দুটি কচ্ছপ সহ একটি টিয়াপাখি উদ্ধার হয়।
advertisement
আরও পড়ুন : শীতে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেতেই হবে 'সবুজ ফুলকপি'
view commentsসঞ্জয়বাবুর কথায়, “ইতিমধ্যে আমি কলকাতার ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর ডিরেক্টর এ অগ্নি মিত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ভেরিফিকেশনের জন্য যোগাযোগ করলে তিনি আমাকে জানান, দুষ্প্রাপ্য ইন্ডিয়ান টেন্ট টার্টল শিডিউল ওয়ান, পার্ট-টু প্রজাতির কচ্ছপ। যা ধরা, পোষা, বিক্রি করা অথবা মারা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই নিয়ম ভাঙলে নন- বেলেবল সেকশনে মামলা হয় ও সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।'এদিকে অভিযুক্ত বাপি দত্ত বলেন, “শখ করে পোষার জন্য আমি কচ্ছপ দুটি কিনেছিলাম। এই কচ্ছপ কেনাবেচা যে নিষিদ্ধ, তা আমার জানা ছিল না।”
Location :
First Published :
Dec 12, 2022 4:16 PM IST









