শিলিগুড়ি: পুলিশ হেফাজতে একাধিক মৃত্যুর ঘটনার পর নড়েচড়ে বসল স্বরাষ্ট্র দফতর। ঠিক হয়েছে এবার থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রতিটি থানায় ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এমনিতেই সব থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হত। তার উপর হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে আরও নড়েচড়ে বসেছে রাজ্য প্রশাসন। প্রতিটি থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর প্রকল্পে নজরদারি চালানোর জন্য দুটি তদারকি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। একটি রাজ্য স্তরে, অন্যটি জেলা স্তরে নজরদারি চালাবে।
প্রতিদিন থানায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর এই বিষয়টি নিয়ে বুধবার 'উত্তরকন্যা'-তে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন জলপাইগুড়ি বিভাগীয় কমিশনার এ আর বর্ধন। হাজির ছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেব, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার অখিলেশ চতুর্বেদী। এছাড়াও শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট, দার্জিলিং জেলা পুলিশ ও কালিম্পং জেলা পুলিশের পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও বৈঠক করা হয়।
বৈঠকের পরে বিভাগীয় কমিশনার এ আর বর্ধন বলেন, ২০২১ সালে পাঞ্জাবে পুলিশ হেফাজতে একটি মৃত্যুর ঘটনার পর সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত থানায় নতুন সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশ অনুসারে রাজ্য সরকার ওয়েবেলের সাথে সহযোগিতা করে ক্যামেরা স্থাপন শুরু করেছে। শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট, দার্জিলিং এবং কালিম্পং জেলার অধীনে বেশ কয়েকটি থানায় ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। লকআপ ও ওসির ঘরে ক্যামেরা বসানো বাধ্যতামূলক। এই প্রকল্পের তদারকির জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান ডিভিশন কমিশনার এ আর বর্ধন। কমিটির সদস্য জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ কমিশনার। ওয়েবেল দ্বারা প্রতিটি থানায় কমপক্ষে দুটি আধুনিক ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। ক্যামেরাগুলি অডিও রেকর্ডযোগ্য। এর জন্য থানা পিছুপ্রায় ১০ লাখ টাকা খরচ হবে। এক বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে বলে জানান জলপাইগুড়ি বিভাগীয় কমিশনার।
আরও পড়ুন: বারুইপুর হাসপাতালে ৮০ টি শয্যা বাড়ছে, খুশি রোগীরা
প্রশাসন সূত্রে খবর, উত্তরকন্যার বৈঠকে জানা যায়, থানায় আগে থেকেই লাগানো আধুনিক ক্যামেরাগুলো ঠিক করে মনিটরিং করতে পারছেন না পুলিশ কর্তারা। ক্যামেরাগুলো চালানো হচ্ছে কিনা তা তাঁরা বুঝতে পারছে না। সমস্যা সমাধানের জন্য বিভাগীয় আধিকারিক শিলিগুড়িতে ওয়েবেলের একটি অফিস স্থাপনের জন্য স্বরাষ্ট্র সচিবের কাছে প্রস্তাব পাঠাবেন বলে ঠিক হয়েছে। বৈঠকের পর বিভাগীয় কমিশনার এ আর বর্ধন আরও বলেন, "আমরা উত্তরকন্যায় একটি জায়গা দেব, যেখানে ওয়েবেলের এজেন্টরা তাঁদের অফিস স্থাপন করতে পারবেন। যাতে থানায় বসানো সিসিটিভি ক্যামেরায় কোনও সমস্যা হলে তাঁরা দ্রুত সেটি সমাধান করতে পারেন।
অনির্বাণ রায়
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: CCTV, Police Station, Siliguri News