পূর্ব মেদিনীপুর: পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ফল হারিনী কালিপুজোর সময় শিকার উৎসবের চল আছে। ২৯ মে রবিবার ফল হারিনী কালীপুজো। এই কালীপুজোর আগে থেকে এবং কালীপুজোর পরের দিনও চলে শিকার পর্ব। এই শিকার উৎসবে বন্যপ্রাণ বাঁচাতে তৎপর পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বন বিভাগ। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় স্বাভাবিক বনাঞ্চল না থাকলেও প্রচুর পরিমাণে বন্যপ্রাণ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য প্রাণী মেছো বিড়াল, গোসাপ, কচ্ছপ সহ বিভিন্ন প্রজাতির সাপ লক্ষ্য করা যায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ঝোপঝাড় যুক্ত জলাশয় গুলিতে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। শিকার উৎসবে মূলত এইসব পশুপাখি শিকার করে একশ্রেণীর আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ। পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম থেকে মূলত ট্রেনে করে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শিকারিরা প্রবেশ করে শিকার উৎসবের দিনগুলিতে শিকার করার জন্য।
কলকাতার উচ্চ আদালতের নির্দেশ ক্রমে বনদপ্তর সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তর, রেল কর্তৃপক্ষ সমন্বয়ে ওই দিনগুলিতে পশু শিকার এবং জীব বৈচিত্রের ক্ষতিসাধনের হাত থেকে পরিবেশকে রক্ষা করার জন্য সামগ্রিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আরও পড়ুনঃ বয়স একটা সংখ্যা মাত্র! ১০২ বছর বয়সেও সবকিছুতেই সাবলীল এক বৃদ্ধ
সেন্দরা পরব ও শিকার উৎসবে কেউ যেন, সাপ, গোসাপ, নেউল, ভাম, মেছো বিড়াল, পাখি ও বাদুড় বা অন্য কোন বন্যপ্রাণী শিকার না করে তা বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে প্রচার করা হচ্ছে জেলা বনদপ্তরের তরফে।
আরও পড়ুনঃ পরিষেবা পৌঁছে দিতে দুয়ারে চেয়ারম্যান কর্মসূচি
১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী এটি একটি দন্ডনীয় অপরাধ। সাজা হিসেবে ১০ বছর পর্যন্ত জেল এবং ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা অথবা উভয়ই হতে পারে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বন আধিকারিক অনুপম খান জানান, \"এই শিকার উৎসবে বণ্যপ্রাণ বাঁচাতে তৎপর জেলা বন বিভাগ। জেলা প্রশাসন, রেল পুলিশ, এনজিও সমন্বয়ে স্টেশনে স্টেশনে প্রচার চলছে। এমনকি ট্রেনে ট্রেনে স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে নজরদারি চালানো হচ্ছে যাতে করে একজন শিকারিও শিকার উৎসবে অংশগ্রহণ করতে না পারে।''
Saikat Sheeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Purba medinipur