#চণ্ডীপুর: পটশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে রঙ তুলির আঁচড় মাটির জলের বোতলের ওপর। শুধু পটশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখা নয়, নিজেদের রুটি-রোজগারের তাগিদে মাটির জলের বোতলের ওপর পটশিল্প ফুটিয়ে তুলছেন। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর ব্লকে, হাবিবচক নানকারচকে ১৫০ জন চিত্রকরের বাস। চিত্রকর পাড়া বর্তমানে ব্যস্ত মাটির জলের বোতলের ওপর রঙ তুলি নিয়ে পটশিল্প ফুটিয়ে তুলতে।
মাটির জলের বোতলের ওপর পটশিল্পের কারুকার্য মানুষের মনে ধরেছে, তাই চাহিদাও তুঙ্গে। বছরের অন্যান্য সময় জীবন-জীবিকার তাগিদে পটশিল্প ফুটে ওঠে মানুষের ব্যবহার্য পোশাক সহ গৃহসজ্জা জিনিসপত্রে। পটশিল্পের পাশে দাঁড়াতে সরকার থেকে হস্তশিল্পের মেলা আয়োজন করা হয়। তা সত্ত্বেও, বর্তমানে পটশিল্প বিলুপ্তির পথে।
আরও পড়ুন- বাড়বে রোগীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার খরচ! কেন এমন আশঙ্কা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকদের?
গ্রাম বাংলার লোকসংস্কৃতির ধারক ও বাহক পটশিল্প। চিত্রকরদের নিপুণ তুলির টানে কাপড়ে ফুটে ওঠে বিভিন্ন দেবদেবীর মূর্তি। পটশিল্পীরা তুলে ধরেন লোকসংস্কৃতি, গ্রামবাংলার মানুষের দৈনন্দিন জীবনযাত্রা সহ নানা সময়ে ধরা থাকে পটশিল্পে। শিল্পের ছোঁয়া লাগছে মাটির তৈরি জলের বোতলের ওপর। বর্তমান সময়ে শুধুমাত্র পটশিল্পকে তুলে ধরা নয়, পরিবেশ বান্ধব মাটির জলের বোতলে নিজেদের নিপুণ শিল্প প্রতিভার ছাপ রাখছেন চিত্রকরেরা।
আরও পড়ুন- সংস্কার হবে নালা নিকাশি! তবে কী এবার জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবে হলদিয়াবাসী?
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর ব্লকের চিত্রকর পাড়ায় ব্যস্ততা তুঙ্গে মাটির জলের বোতলে পটশিল্প ফুটিয়ে তুলতে। পটশিল্পী আবেদ চিত্রকর জানান, "একদিকে যেমন মাটির জলের পাত্র ব্যবহার করা পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্যকর, অন্যদিকে মাটির জলের পাত্রে পটশিল্প ফুটিয়ে তোলার মধ্যে পটশিল্পও বেঁচে থাকছে। পটশিল্পের কারুকার্য যুক্ত মাটির জলের বোতলের চাহিদা প্রচুর। এক একটি ১ লিটার জলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকায় এবং ৫০০ মিলিলিটার জলের বোতল বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।" পটশিল্পীদের এই প্রয়াসকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমী মানুষজন।
Saikat Sheeনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Earthen pot, East Medinipur