নন্দকুমার: পূর্ব মেদিনীপুর জেলাকে বলা চলে কালীক্ষেত্র। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী বর্গভীমা। ভীমা কালী রূপে পূজিত হন দেবী। এছাড়াও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় সর্বত্রই কালীমন্দির ও কালী পূজার প্রচলন রয়েছে বছরের বিভিন্ন সময়। ঠিক এরকম একটি কালীপুজোর নন্দকুমার ব্লকের রাজারামপুর গ্রামের শ্মশান কালী পুজো। যার বয়স ২০০ বছরেরও বেশি।
রাজারামপুর গ্রামের কালীপুজো শুরু হয়েছিল প্রায় দুশো বছর আগে মহামারীর প্রকোপ থেকে বাঁচতে। বর্তমানে এই প্রাচীন কালীপুজো আজও স্বমহিমায় পূজা পাঠ চলে। এখানে দেবী শ্মশানকালে রূপে পূজিত হন। পূজা শুরুর ইতিহাস হিসেবে উঠে আসে কলেরা মহামারীর প্রকোপ থেকে বাঁচতে গ্রামের কয়েকজন মানুষ গ্রামের শ্মশানের ওপর কালীপুজোর আয়োজন করে, সেই থেকে এই পুজো হয়ে আসছে।
বর্তমানে এলাকার পান চাষী ও দূরদূরান্ত এলাকা থেকে মানুষজন মনস্কামনা পূরণের পুজো দেন। ভক্তদের মধ্যে বিশ্বাস এই মন্দিরে এসে দেবী মায়ের কাছে কিছু চাইলে মা তা ফেরান না। এখানে ভক্তরা এসে প্রথমে মায়ের মন্দিরের সামনে পবিত্র কুন্ডে স্নান করে মন্দিরের চারপাশে দন্ডি কেটে পুজো দেন। ভক্তরা বাড়ির মঙ্গলের জন্য ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের মঙ্গলের জন্য মানসিক করেন।
আরও পড়ুন : Pension Scheme: ন্যূনতম পেনশন ৭,৫০০! বিরাট দাবি, দরবার PM Modi-র সামনেও
আরও পড়ুন : East Burdwan News: চার হাজার খরচ করে এই চাষ করলেই লাভ তিনগুণ! ছাদেও হবে চাষ, দেখুম চমক
তাদের সেই মনস্কামনা পূরণ হলে পুকুরের স্নান সেরে মায়ের কাছে পুজো দিয়ে যান। প্রাচীন এই কালীপুজো প্রতি বছর শীতলা অষ্টমীর দিনই শুরু হয় প্রাচীন রীতি-নীতি মেনেই। এই কালী মন্দিরের প্রতি রবিবার পূজা হয় তবে প্রতিবছর শীতলা অষ্টমী দিন থেকে বার্ষিক পুজোর বসে। পূজা পাঠ চলে নয় দিন ধরে। পূজা উপলক্ষে মেলা ও মেলায় নানান ধরনের অনুষ্ঠান হয় প্রতিদিন সন্ধ্যা বেলা।
Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: East Midnapur News