শিশু দত্তক বিষয়ক সচেতনতা শিবির আয়োজিত হয় জেলা শাসক কার্যালয়ে।তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলা সমাজ কল্যান দপ্তরের অধীন, জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের সহযোগিতায়, জেলা প্রশাসনের কনফারেন্স হলে, জেলার সমস্ত প্রাইভেট নার্সিং হোম ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের নিয়ে একটি সচেতনতা শিবির আয়োজিত হল।শিশুদের দত্তক বিষয় সচেতন করতে আলোচনা শিবিরে, শিশু দত্তক আইন নিয়ে বিস্তর আলোচনা করা হয়। জন্ম নেওয়া সব শিশু যাতে বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে, স্বাভাবিক পরিবেশ পায় তার জন্য সচেষ্ট জেলা প্রশাসন। অবহেলায় অনাদরে অনেক শিশুই বেড়ে ওঠে। এতে অনেক সময় অপুষ্টির শিকার হয়। ফলে, স্বাভাবিক বৌদ্ধিক বিকাশ হয় না। আবার অনেক সময় শিশুটি সহজেই বিপথগামী হয়ে পড়ে। খুব অল্প বয়সেই বড় অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। শিশু পাচার আটকানো যায় অনাথ শিশুদের দত্তক নেওয়ার মাধ্যমেই। কিন্তু সেই দত্তক পদ্ধতি জেনে মেনেই হয়। দত্তক বিষয়ক সচেতনতা শিবির আয়োজন হয় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু সুরক্ষা ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে।শিবিরে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারন) সৌভিক চট্টোপাধ্যায়, জেলার চিফ মেডিক্যাল অফিসার তমলুক, ডেপুটি মেডিক্যাল অফিসার, তমলুক | হলদিয়া, কাথি, নন্দীগ্রাম হাসপাতালের সুপার, জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক পূর্ণেন্দু পৌরানিক, জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন ডাঃ দিলীপ কুমার দাস এবং জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের সকল আধিকারিক ও কর্মীবৃন্দ প্রমুখ।শিশুদের দত্তক বিষয়ক আইন নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়, এবং একই সঙ্গে বেআইনিভাবে দত্তক প্রদান হলে, সংযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত যে শাস্তির বিধান আছে তারও আলোচনা হয়। এই সভাতে নার্সিং হোম কর্তৃপক্ষের শিশু সুরক্ষা ব্যাপারে আইনগত ও সামাজিক দায়বদ্ধতার কথা তুলে ধরা হয়। জেলা সমাজ কল্যান আধিকারিক পূর্ণেন্দু পৌরানিক বলেন, " শিশু দত্তক নিয়ে আলোচনা শিবির আয়োজন হয়। এই শিবিরে শিশু দত্তক আইন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। জন্ম নেওয়া প্রতিটি শিশু যাতে সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশে বড় হতে পারে, তার জন্য কোন শিশু অনাথ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা জরুরী। কিন্তু শিশু দত্তক নেওয়ার সময় সামনে দেখা যায় অনেকেই এই সংক্রান্ত আইন কানুন মেনে চলে না। দত্তক নেওয়া শিশুকে আইন সংক্রান্ত ভাবে পরবর্তীকালে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। তাই এই সচেতনতা শিবির আয়োজন করা হয়।"