Traditional-Durga-Puja-2022: জমিদারি নেই! তবুও ৩০০ বছর ধরে বংশের রীতি মেনেই পুজো হয় বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
Traditional-Durga-Puja-2022: কুমারী পুজো করেন বাড়ির মহিলারাই। দশমীতে এই জমিদার বাড়িতেই আসে শঙ্খচিল।
#পূর্ব বর্ধমান: বাতাসে ভাসছে শিউলির গন্ধ, কাশের দোলানি দিচ্ছে জানান, মা আসছে। চারিদিকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে উমা আসার ব্যস্ততা। যেমন বর্ধমান জেলা জুড়ে পুজোর তোড়জোড় চলছে। তেমনই বর্ধমানের অতি পরিচিত আউশগ্রামের জঙ্গলমহল এলাকার গোস্বামীখন্ড গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো। প্রায় ৩০০ বছর ধরে চলে আসছে এই বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির দুর্গাপুজো।এই বাড়িতে প্রথম দুর্গাপুজোর প্রচলন করেন বংশের গোপীনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়। তার নির্মিত দুর্গা মন্দিরটি প্রাচীনতত্ত্বের কারণে ধ্বংসপ্রাপ্ত হওয়ায় পুরাতন মন্দিরটির পাশেই ১২৭১ বঙ্গাব্দে একটি নতুন দুর্গা মন্দির নির্মাণ করেন গোপাল প্রসাদ বন্দোপাধ্যায়। তার পর থেকেই সেই মন্দিরে পূজিত হয়ে আসছে দেবী দূর্গা। জমিদারিত্ব থাকায় তখনকার দিনে দুর্গাপুজো হতে খুব জাকজমক সহকারে।
কালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে অনেক কিছুই। ঠিক যেমন মন্দির প্রাঙ্গণে ঝলমল করা ঝাড়বাতি গুলি এখন আর নেই তেমনি কিছুটা হলেও কমেছে পুজোর জৌলুস। সবেকিআন এই বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের দুর্গাপুজোয় রয়েছে নানান রীতি। এই বাড়ির বর্তমান প্রজন্মের মুখে শোনা যায়, প্রায় ৭০ বছর আগে পর্যন্ত বলি হত দুর্গাপূজোয়। এই পরিবারের দুর্গা প্রতিমাকে বেঁধে রাখা হত শিকল দিয়ে। তবে এখন আর শিকল দিয়ে বাধার রীতি নেই। শোনা যায়, মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে প্রতিমার দুলে উঠতো আগে। তাই দেবী যাতে পড়ে না যায় তার জন্য শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হতো দেবীকে। তবে এখন দেবীকে বেঁধে রাখা হয় মোটা দড়ি দিয়ে। যে সময় মহিলাদের ঘরের বাইরে বের হওয়ার স্বাধীনতা ছিল না সেই সময় থেকেই এই বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের মহিলারা স্বাধীনতা পেতেন পুজোর কাজের সকলের সঙ্গে কাজ করার। এমনকি দশমীর দিন কুমারী পুজো করতেন মহিলারা। সেই রীতি আজও বিদ্যমান।
advertisement
advertisement
পরিবারেরই প্রতিষ্ঠা করা চারটি জলাশয়ের মধ্যে ' বোলেগড়ে' থেকে ষষ্ঠীর দিন ঘট আনা হয়। সপ্তমীর দিন তালবোনা থেকে ঘট আনা হয়। সপ্তমীর দিন সাত রকম ভাজা অষ্টমীর দিন আট রকম ভাজা নবমীর দিন ন'রকম ভাজা দিয়ে দেবীকে ভোগে দেওয়া হয়। প্রতিদিনের ভোগে কচুর শাক থাকবেই। দশমীর দিন ঘর বিসর্জনের সময় ঠাকুর দালানের আশপাশ এলাকায় দেখা যায় শঙ্খচিল। প্রতি বছরই দশমীর দিন ঠিক বিসর্জনের সময় দেখা যায় শঙ্খচিল। আর বিসর্জনের দিন হয় সিঁদুর খেলা এই সবের মধ্যে দিয়েই সমাপ্তি ঘটে গোস্বামীখন্ড গ্রামের বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়ির পুজো।
advertisement
Malobika Biswas
Location :
First Published :
September 14, 2022 10:50 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব বর্ধমান/
Traditional-Durga-Puja-2022: জমিদারি নেই! তবুও ৩০০ বছর ধরে বংশের রীতি মেনেই পুজো হয় বন্দ্যোপাধ্যায় বাড়িতে