#কলকাতা: আজ চৈত্র মাসের শেষ সোমবার। সোমবতী অমাবস্যা বা চৈত্র অমাবস্যা নামেও পরিচিত এই বিশেষ দিন। আজকের এই বিশেষ তিথিতে দেশের নানা প্রান্তের মানুষজন শিব আরাধনায় মেতে ওঠেন। সারা দিন উপোস করে শিবের পুজো করেন। এই বিশেষ দিনের তাৎপর্য কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক সোমবতী অমাবস্যার খুঁটিনাটি!
গতকাল (১১ এপ্রিল) সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়েছে এই পুণ্য তিথি। পঞ্জিকা মতে এই দিনটির একাধিক তাৎপর্য রয়েছে। চন্দ্র দিবস হিসেবেও পালিত হয় এই দিন। আজকের দিনে কুম্ভে স্নান করেন পুণ্যার্থীরা। শুরু হয় শাহি স্নান। হরিদ্বার-সহ দেশের নানা প্রান্তের গঙ্গার ঘাটে পুণ্যার্থীদের ঢল নামে। সবাই গঙ্গাস্নানের পাশাপাশি সূর্য নমস্কার করেন।
সোমবতী অমাবস্যার তাৎপর্যঃ
সোমবারকে শিবের বার বলা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সোমবার দিনই শিবপূজার দিনক্ষণ ধার্য হয়। ভোলানাথের ভক্তদের দৃঢ় বিশ্বাস, সোমবারের পুণ্য তিথিতে সমস্ত বিধি মেনে শিবের আরাধনা করলে জীবনের প্রতিবন্ধকতা ও সমস্যাগুলি দূর হয়। যদি শিবকে সন্তুষ্ট করা যায়, তাহলে সমস্ত বাধা-বিপত্তি কেটে যায়। এ নিয়ে একটি প্রচলিত ধ্যান-ধারণাও রয়েছে। বলা হয়, আজকের বিশেষ তিথিতে শিবের পুজো করলে কুমারী মেয়েরা ভালো স্বামী পান। আর বিবাহিত মহিলারা নিজেদের সন্তান ও স্বামীর মঙ্গল কামনায় এই ব্রত করেন। এক্ষেত্রে নবদম্পতিরাও সন্তানের কামনা করে শিব আরাধনায় মেতে ওঠেন।
সোমবতী অমাবস্যা তিথিঃ
১১ এপ্রিল (২৯ চৈত্র) সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে ১২ এপ্রিল (৩০ চৈত্র) সকাল ৮টা পর্যন্ত রয়েছে সোমবতী অমাবস্যা। এই সময়কালের মধ্যেই ব্রত, উপোস থাকা ও পূজাপাঠের কাজকর্ম করতে হবে।
পুজোর নিয়ম-বিধিঃ
যাঁরা এই ব্রত করতে চান, তাঁদের বেশ কিছু নিয়ম পালন করতে হবে। খুব ভোর অর্থাৎ ব্রাহ্ম মুহূর্তে বিছানা ছেড়ে উঠতে হবে। তার পর নিত্যকর্ম ও স্নান সেরে নিতে হবে। স্নানের শেষে পরিষ্কার জামা-কাপড় পরতে হবে। প্রথমেই সূর্য নমস্কার ও সূর্যকে জল উৎসর্গ করতে হবে। এক্ষেত্রে সূর্যমন্ত্র পাঠ করা বাঞ্ছনীয়। এর পর শিবলিঙ্গের জলাভিষেক করতে হবে। অনেক ব্রতী ও ভক্ত শিব-দুর্গার পূজা ও আরতি করেন। দিনভর উপোস থাকতে হয়। এই বিশেষ দিনে শিব পূজার শেষে গরিব ও দুঃস্থদের মধ্যে ফল,খাবার ও পানীয় বিতরণ করেন ব্রতীরা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Somvati Amavasya