পঞ্চাঙ্গ ৩০ এপ্রিল: দেখে নিন নক্ষত্রযোগ, শুভ মুহূর্ত, রাহুকাল এবং দিনের অন্য লগ্ন!

এই সংক্রান্ত আলোচনায় আসার আগে আরেকটি কথা একটু ব্যাখ্যা না করলেই নয়। বলা তো হচ্ছে পাঁচটি অঙ্গ, কিন্তু এগুলো আসলে কী?

ভারতীয় দিনপঞ্জির এই পাঁচটি অঙ্গ হল তিথি, বার, নক্ষত্র, যোগ এবং করণ। সেই অনুসারে ৩০ এপ্রিলের কিছুটা পড়েছে ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথিতে। রাজা বিক্রমাদিত্য যে বছর গণনার রীতি প্রবর্তন করেছিলেন, সেই বিক্রম সম্বত মেনেই এই পঞ্চাঙ্গ বর্তমানে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বার হল শুক্র এবং এই চতুর্থী তিথি থাকবে ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টা ১০ মিনিট পর্যন্ত। এর পরে শুরু হয়ে যাবে কৃষ্ণপক্ষের পঞ্চমী তিথি।

বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের এই চতুর্থী তিথিটি দেবী সন্তোষী, দেবী মহালক্ষ্মী, দেবী অন্নপূর্ণা এবং দেবী দুর্গার আরাধনার জন্য প্রশস্ত, এই তিথিতেই বিকট সন্তুষ্টী ব্রত উদযাপন এবং বিকট মহাগণপতির আরাধনা করে থাকেন ভক্তেরা।

পঞ্চাঙ্গ মতে আজ সূর্যোদয় হয়েছে সকাল ৫টা ৪১ মিনিটে, সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটে। অন্য দিকে, চন্দ্রোদয় হবে ৩০ এপ্রিল রাত ১০টা ৪৮ মিনিটে । চন্দ্র অস্ত যাবে ১ মে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে।

এই ২০৭৭ বিক্রম সম্বতের বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্থী তিথির নক্ষত্র হল জ্যেষ্ঠা। ৩০ এপ্রিল, দুপুর ১২টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রের অবস্থান থাকবে। এর পর তিথিতে অবস্থান করবে মূলা নক্ষত্র।

সূর্য অবস্থান করবে মেষ রাশিতে। চন্দ্র অবস্থান করবে বৃশ্চিক রাশিতে ৩০ এপ্রিল দুপুর ১২টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত, তার পর গমন করবে ধনু রাশিতে।।

শুভ মুহূর্ত- ৩০ এপ্রিল অভিজিৎ মুহূর্ত শুরু হচ্ছে সকাল ১১টা ৫২ মিনিটে, শেষ হচ্ছে দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে। আজ অমৃতকাল পড়েনি। এই অভিজিৎ মুহূর্ত এবং অমৃতকালকে ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্রের অন্যতম পুণ্যলগ্ন বলে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। যে কোনও নতুন কাজ, শুভ কাজ শুরু করার এটি প্রকৃষ্ট সময়।

অশুভ মুহূর্ত- পঞ্চাঙ্গ মতে ৩০ এপ্রিল রাহুকাল শুরু হচ্ছে সকাল ১০টা ৩৯ মিনিটে, শেষ হচ্ছে দুপুর ১২টা ১৮ মিনিটে। এই সময়ে নতুন কোনও কাজ শুরু করাটা ঠিক হবে না।