Most Expensive Perfume: হার মানাবে সোনা-রুপোর দামকেও; মাটির সোঁদা গন্ধযুক্ত এই পারফিউম প্রাণ-মন জুড়িয়ে দেবে
- Published by:Salmali Das
- trending desk
Last Updated:
Most Expensive Perfume: পারফিউম বা সুগন্ধী মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। উত্তরপ্রদেশ, অসম, কেরলের মতো ভারতের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক ভাবে পারফিউমের ব্যবসা হয়ে থাকে। এমনকী এইসব রাজ্য থেকে গোটা বিশ্বেই পৌঁছে যায় পারফিউম।
কলকাতাঃ পারফিউম বা সুগন্ধী মিষ্টি গন্ধ ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। উত্তরপ্রদেশ, অসম, কেরলের মতো ভারতের রাজ্যগুলিতে ব্যাপক ভাবে পারফিউমের ব্যবসা হয়ে থাকে। এমনকী এইসব রাজ্য থেকে গোটা বিশ্বেই পৌঁছে যায় পারফিউম। আর এই সমস্ত সুগন্ধীর দাম হয় সাধারণত ২০০০ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে। কিন্তু একটি পারফিউম রয়েছে, যার মূল্য সোনা এবং রুপোর তুলনায় অনেকটাই বেশি। আর সারা বিশ্বে এর চাহিদাও দেখার মতো। এমনকী ব্রিটিশ রাজপরিবার-সহ বিশ্বের বেশ কিছু রাজপরিবার এই সোঁদা গন্ধযুক্ত সুগন্ধী ব্যবহার করে থাকে। জেনে নেওয়া যাক, সেটা কোথায় পাওয়া যায়? আর এর দামই বা কত?
আরও পড়ুনঃ দ্বিতীয়বার মা হওয়ার পর টলি হার্টথ্রবের সঙ্গে ‘রোমান্স’? শুভশ্রীকে নিয়ে ‘নতুন গুঞ্জন’…
মূলত হংকংয়ে তৈরি হয় এই সুগন্ধী। এর নাম হল আগরউড। সোঁদা গন্ধযুক্ত এই মহার্ঘ্য পারফিউম বিশ্বের মধ্যে সবথেকে দামি। মাত্র ১ গ্রাম এই সুগন্ধী বিকোয় ৬ থেকে ৮ হাজার টাকায়। উত্তরপ্রদেশের কনৌজের কিছু ব্যবসায়ী এই প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁরা জানান যে, সেখানে এই সুগন্ধীর নাম আদ্রাউদ। ব্যবসায়ীদের মতে, অসমে প্রাপ্ত আসমাকীট নামের একটি কাঠ থেকে কৈরি হয় এই সুগন্ধী। আর এই কাঠের মূল্য কেজি প্রতি ২৫ লক্ষ টাকা।
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, আগরউড কাঠ প্রচুর দামে বিক্রি হয়। কারণ এটা আগে চিকিৎসার কাজে ব্যবহার করা হত। এই কাঠ থেকে প্রস্তুত করা ওষুধ ব্যথা উপশমের জন্য খুবই উপকারী। আর সেই কারণেই এর চাহিদা যুগের পর যুগ ধরে চলে আসছে। বিবিসি-র একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে যে, আগরউড গাছ যখন পচে যায়, তখন তার কাঠ নিষ্কাশন করা হয়। আসলে গাছের গুঁড়ির বাকল ছাড়িয়ে আলাদা করা হয়। এরপরে তার মধ্যে ফাঙ্গাস বা ছত্রাক জন্মায়। যা এক বিশেষ ধরনের আঠা নির্গত করে।
advertisement
advertisement
সেই আঠাকে হংকংয়ে রেজিনে রূপান্তরিত করা হয়। এরপরে সেই আঠা পিষে তেল নিষ্কাশন করা হয়। যা আউধ অয়েল নামে পরিচিত। শুধুমাত্র এর থেকেই আগরউড পারফিউম তৈরি হয়। এমনকী সুগন্ধী ধূপকাঠিও বানানো হয়। আর এখানেই চমকের শেষ নেই। তেল নিষ্কাশনের পরে অবশিষ্ট কাঠ বিক্রি হয় কেজি প্রতি ৫ লক্ষ টাকায়। কেউ কেউ এই কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র বানান। এমনকী গাছের বিশাল বিশাল গুঁড়ি খোদাই করে কোটি কোটি টাকায় বিক্রি হয়। প্রবল চাহিদার কারণে বেআইনি ভাবে এই কাঠ পাচারও করা হয়।
view commentsLocation :
Kolkata,West Bengal
First Published :
December 28, 2023 4:29 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
Most Expensive Perfume: হার মানাবে সোনা-রুপোর দামকেও; মাটির সোঁদা গন্ধযুক্ত এই পারফিউম প্রাণ-মন জুড়িয়ে দেবে