বছরে মাত্র ১৫ দিন মেলে এই মিষ্টি, চাহিদাও থাকে তুঙ্গে; বিক্রি হয় ১০০ টনেরও বেশি

Last Updated:

আসলে লাভ নয়, বরং সেবার স্পৃহা নিয়েই এই ব্যবসা করে মানুষ। রাজস্থানের বিকানেরে আসলে পিতৃপক্ষের ১৪ দিনের জন্য বসে অস্থায়ী মিষ্টির দোকান।

বছরে মাত্র ১৫ দিন মেলে এই মিষ্টি, চাহিদাও থাকে তুঙ্গে; বিক্রি হয় ১০০ টনেরও বেশি
বছরে মাত্র ১৫ দিন মেলে এই মিষ্টি, চাহিদাও থাকে তুঙ্গে; বিক্রি হয় ১০০ টনেরও বেশি
নিখিল স্বামী, বিকানের: মুনাফা ছাড়া কি কোনও ব্যবসা হয়! এমন কথা কেউ কখনও শুনেছেন? তাহলে আজ একটা ব্যবসার কথা বলব। যেটার কথা শুনলে ব্যবসা ও মুনাফা সংক্রান্ত প্রচলিত এই ধারণা ভেঙে যাবে। আসলে লাভ নয়, বরং সেবার স্পৃহা নিয়েই এই ব্যবসা করে মানুষ। রাজস্থানের বিকানেরে আসলে পিতৃপক্ষের ১৪ দিনের জন্য বসে অস্থায়ী মিষ্টির দোকান। বলা ভাল, এই সময়টায় গোটা বিকানের শহরে ছেয়ে থাকে অস্থায়ী এই মিষ্টির দোকানগুলি। আর লাভের তুলনায় সেবার লক্ষ্য নিয়েই মিষ্টি বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা।
আসলে ওইসব দোকানে মিষ্টির দাম সাধারণ মিষ্টির দামের তুলনায় অর্ধেক। ফলে নামমাত্র দামে পাওয়া যাচ্ছে দেশি ঘিয়ে তৈরি এইসব মিষ্টি। আর পিতৃপক্ষ চলাকালীন ওই অস্থায়ী দোকানগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে মিষ্টি কেনেন বিকানের শহরের বাসিন্দারা। সুরেন্দ্র ব্যাস নামে এক দোকানি বলেন, বড় বড় মিষ্টির দোকানের তুলনায় অর্ধেক দামে এবং ন্যায্যমূল্যে মিষ্টি পাওয়া যাচ্ছে এখানে। এমনকী তিনি আরও জানালেন যে, তাঁরা যে দামে মিষ্টি বিক্রি করছেন, সেটাই ন্যায্য দাম!
advertisement
advertisement
সুরেন্দ্র বলে চলেন, “আমরা বড় বড় দোকান থেকে যখন মিষ্টি কিনি, তখন তারা সকলে খরচের দিকটা রেখে তবেই দাম নির্ধারণ করে। অথচ আমরা যে মূল্যে মিষ্টি বিক্রি করছি, সেটাই আসল বা ন্যায্য মূল্য। যেমন- অস্থায়ী দোকানে মতিপাক কেজি প্রতি ২৪০ টাকা থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর বড় বড় মিষ্টির দোকানগুলিতে মতিপাকের দাম কেজি প্রতি ৪০০-৪৪০ টাকা। আবার কাজু কাটলি আমাদের দোকানে মিলবে কেজি প্রতি ৫৫০ টাকায়। অথচ বড় মিষ্টির দোকানে এই মিষ্টি পাওয়া যায় কেজি প্রতি ৭০০ টাকায়।” এমনকী, অস্থায়ী দোকানগুলিতে মিষ্টির জন্য অগ্রিম বুকিং নেওয়া হয় বলেও জানালেন সুরেন্দ্র।
advertisement
পিতৃপক্ষের সময় প্রায় ২০০টি অস্থায়ী দোকান থাকে। যেখানে প্রতিদিন ৮ হাজার কেজিরও বেশি মিষ্টি বিক্রি হয়। অর্থাৎ হিসেব অনুযায়ী, ১৫ দিনে ১০০ টনেরও বেশি মিষ্টি বিকোয় এই দোকানগুলিতে।
advertisement
পিতৃপক্ষ চলাকালীন কেমন ধরনের মিষ্টির চাহিদা থাকে? বিকানেরের ব্যবসায়ীরা জানান যে, এই সময়টায় গাল লাড্ডু, মতিপাক, দিলখুশাল, পানধারী, কেশর গুলাব জামুন, জিলিপি, কাজু কাটলি প্রভৃতি মিষ্টির চাহিদা থাকে তুঙ্গে। অস্থায়ী দোকানগুলিতে গাল লাড্ডুর দাম কেজি প্রতি ২৮০ টাকা, পানধারীর দাম কেজি প্রতি ২৬০ টাকা, মতিপাকের দাম কেজি প্রতি ২৬০ টাকা, কাজু কাটলির দাম কেজি প্রতি ৫৫০ টাকা এবং কেশর গুলাব জামুনের দাম কেজি প্রতি ২৮০ টাকা। আর জিলিপি বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ১৪০ টাকা দরে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/পাঁচমিশালি/
বছরে মাত্র ১৫ দিন মেলে এই মিষ্টি, চাহিদাও থাকে তুঙ্গে; বিক্রি হয় ১০০ টনেরও বেশি
Next Article
advertisement
Maharashtra Doctor Death Update: কী চলত সরকারি হাসপাতালে, কেন নিজেকে শেষ করে দিলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? বিরাট কেলেঙ্কারি ফাঁস
কী চলত সরকারি হাসপাতালে,কেন নিজেকে শেষ করলেন মহারাষ্ট্রের তরুণী চিকিৎসক? কেলেঙ্কারি ফাঁস
  • মহারাষ্ট্রে তরুণী চিকিৎসকের আত্মহত্যার ঘটনায় এবার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলল নির্যাতিতার পরিবার৷ মৃতার এক সম্পর্কিত ভাইয়ের অভিযোগ, ওই চিকিৎসককে ময়নাতদন্তের ভুয়ো রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হত৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement