হোম /খবর /উত্তরবঙ্গ /
মাটির কলসি বানিয়ে তেমন লাভ হয় না! নতুন প্রজন্ম কী বলছে এই পেশা নিয়ে? জানুন

Uttar Dinajpur News: মাটির কলসি বানিয়ে তেমন লাভ হয় না! নতুন প্রজন্ম কী বলছে এই পেশা নিয়ে? জানুন

X
মৃৎ [object Object]

Uttar Dinajpur News: গ্রীষ্মকালে মাটির কলসির চাহিদা ছিল দেদার।  কিন্তু  বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির জামানায় সেই মাটির কলসি আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। মানুষজন মাটির কলস আর কিনতে চান না।

  • Hyperlocal
  • Last Updated :
  • Share this:

রায়গঞ্জ: একটা সময় গরম পড়লেই খোঁজ পড়ত মাটির কুঁজো-কলসির। রোদথেকে এসে এক গ্লাস মাটির কলসি কিংবা কুঁজোর জল সারা শরীর জুড়িয়ে দিত। তবে দিন পালটেছে। এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। চলছে বাতানুকুল যন্ত্র। জলের বোতলের গায়ে ঠাণ্ডার পরত! তাই আগের মতো মাটির কুঁজো-কলসির ব্যবহার নেই। উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জ এর কাছে মিশন মোড়। যেখানে দেখা গেল ৫০ বছর ধরে তারা এই মাটির তৈরি জিনিস বানিয়ে আসছেন।

তারা বলেন একসময় প্রচুর মাটির কলসি, হাঁড়ি সহ মাটির অন্যান্য জিনিস তারা তৈরি করতেন। গ্রীষ্মকালে মাটির কলসির চাহিদা ছিল দেদার। কিন্তু বর্তমানে উন্নত প্রযুক্তির জামানায় সেই মাটির কলসি আস্তে আস্তে হারিয়ে যেতে বসেছে। মানুষজন মাটির কলস আর কিনতে চান না। ফলে উপযুক্ত মাটির অভাবে ও চাহিদা না থাকায় এখন কুমোরেরা খুব বেশি মাটির কলসি কিংবা কুঁজো তৈরি করেন না। সারাদিনে ১/২ টিকলসি তৈরি হয়।

আরও পড়ুন:  বেহাল জল নিকাশি ব্যবস্থা বিক্ষোভ বর্ধমানে! জানুন

এক মৃৎ শিল্পী লক্ষ্মী পাল জানান যখন ফ্রিজ ছিল না, গরমের দিনে জল ঠাণ্ডা রাখতে মাটির কলসি ব্যবহার করা হত। এখন সবার বাড়ি বাড়ি ফ্রিজ তাই মাটির কলসির জল তেমন এখন কেউ ব্যবহার করে না। যদিও দুই একজন মাটির কলসির উপকারিতা জেনে মাঝে মাঝে এক দুটো কলসি কিনতে আসেন।আর এক মহিলা মৃৎ শিল্পী জোৎস্না পাল বলেন ৫০ বছর ধরে এই কাজ করছি। লাভ নেই, সেল নেই তেমন। আগে বিয়ে বাড়ি থেকে অর্ডার আসত,এখন আসে না। বিক্রি করতে পারলে কখনো কখনো ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা লাভ হয়। বেশি গরম পরলে যাও একটু লাভ হতো কিন্তু এবার হচ্ছে না।মাটির কলসি বানিয়ে তেমন লাভ না হওয়ায়, আগামী প্রজন্ম আর এই পেশায় আসতে চাইছে না।

পিয়া গুপ্তা

Published by:Piya Banerjee
First published:

Tags: Clay pot, Uttar dinajpur News