Jalpaiguri News: এশিয়ার প্রথম চা বাগান যেখানে সৌরশক্তিতেই হবে সমস্ত কাজ! কমবে খরচ

Last Updated:

বিদ্যুৎ-এর খরচ কমাতে এবার থেকে সৌরশক্তিকে সবরকম ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ডুয়ার্সের চ্যাংমারি চা বাগানে। সোলার সিস্টেমের  যে শুধুই পরিবেশবান্ধব তা কিন্তু নয়, সৌরশক্তির ব্যবহার করায় চা বাগানে আর হবে না বিদ্যুৎ কষ্ট।

+
সৌরশক্তির

সৌরশক্তির ব্যবহার চা বাগানে

জলপাইগুড়ি: বিদ্যুৎ-এর খরচ কমাতে এবার থেকে সৌরশক্তিকে সবরকম ভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে ডুয়ার্সের চ্যাংমারি চা বাগানে। সোলার সিস্টেমের  যে শুধুই পরিবেশবান্ধব তা কিন্তু নয়, সৌরশক্তির ব্যবহার করায় চা বাগানে আর হবে না বিদ্যুৎ কষ্ট। এবার থেকে চা বাগানের কারখানার কাজ থেকে শুরু করে বাগান কর্মচারীদের আবাসে বিদ্যুতের আলো সবকিছুই হবে সৌরশক্তির মাধ্যমে।
ডুয়ার্সের এই চ্যাংমারি চা বাগান এশিয়ার সবচেয়ে প্রথম চা বাগান। সংশ্লিষ্ট মহলের দাবি, অচিরাচরিত শক্তির এমন বড় আকারের ব্যবস্থা শুধু ভারত কেন, এশিয়া মহাদেশের চা উৎপাদক দেশগুলির বাগানের ইতিহাসে এই প্রথম।
advertisement
জানা গিয়েছে, বর্তমানে প্রতিদিন সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ মিলছে। তা সোজা চলে যাচ্ছে কারখানায়। সেখান থেকে বাগানের অন্যান্য অংশে সরবরাহ করা হচ্ছে। পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থার পাশাপাশি বর্তমান বিদ্যুৎ দাম ধরলে দেখা যায়, বাগান কর্তৃপক্ষের বছরে সাশ্রয় হবে প্রায় ৮০ লক্ষ থেকে ৯০ লক্ষ টাকা।
advertisement
চ্যাংমারির ম্যানেজার গজেন্দ্র শিসোদিয়া এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমাদের এখানে সৌরশক্তি উৎপাদনের যে প্যানেলগুলি বসানো হয়েছে তা বাই-ফেসিয়াল। অর্থাৎ সূর্যের দিকে  করে থাকা প্যানেলের অংশ, কিংবা নীচের অংশ, দুটি দিকই বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম। এমন ব্যবস্থা গোটা দেশের চা শিল্পের নিরিখে প্রথম।”
advertisement
প্রকল্পটি চালু করতে যত টাকা খরচ হয়েছে তা আগামী কয়েক বছরের মধ্যে উঠে আসবে বলেই বাগান কর্তৃপক্ষের আশা। আর যা সাশ্রয় হবে, তার পুরোটাই বাগানের উন্নয়ন ও শ্রমিক কল্যাণ খাতে খরচ করা হবে বলে আশ্বাস। চ্যাংমারির কারখানা থেকে কিছুটা দূরে ১ হেক্টর জমিজুড়ে মোট ৪৯০টি সৌর প্যানেল বসানো হয়েছে। প্রতিদিনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা ১০৪০ কিলোওয়াট।
advertisement
এখন শীতকালীন খরা মরশুমের কারণে সমস্ত বাগানের উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। ফলে চ্যাংমারির কারখানা চালু নেই। তবে বাগানজুড়ে ১৫টি পাম্পের সাহায্যে কৃত্রিম জলসেচের কাজ ওই সৌরশক্তির মাধ্যমেই হচ্ছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন করেছে টাটা গোষ্ঠী। প্রকল্প তৈরি বাবদ মোট ব্যয় হয়েছে ৪.২৫ কোটি টাকা। আগামী ৫ থেকে সাড়ে ৫ বছর পর যে পরিমাণ বিদ্যুৎ মিলবে, তা পুরোটাই কার্যত বিনা খরচের। রক্ষণাবেক্ষণ বলতে সৌর প্যানেলগুলি সপ্তাহে একদিন করে ভাল মতো সাফ করে নেওয়া। এই ব্যবস্থাপনায় বেশ খুশি এলাকার বাসিন্দারা।
advertisement
সুরজিৎ দে
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
Jalpaiguri News: এশিয়ার প্রথম চা বাগান যেখানে সৌরশক্তিতেই হবে সমস্ত কাজ! কমবে খরচ
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement