'৭ দিনের মধ্যে সেতু, ক্ষতিপূরণ ও চাকরি'! কোনও চিন্তা নেই, মিরিকে পৌঁছে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

Last Updated:

Mamata Banerjee মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, 'কেউ চিন্তা করবেন না। যারা ক্ষতিগ্রস্ত, তাদের সাত দিনের মধ্যেই চাকরির নিয়োগ ও ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হচ্ছে। খাওয়ার জন্য কমিউনিটি কিচেন চলছে। সবাইকে বলেছি— মানুষের পাশে থাকো, এখনই রাজনীতি নয়, মানবিকতা।'

পাহাড়ে বিপর্যয়ের পর শনিবার মিরিকে পৌঁছে পরিস্থিতির সরেজমিনে পর্যালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রশাসন, পূর্ত দফতর ও স্থানীয় মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুত পুনর্গঠন চলছে। মৃতদের পরিবারে গিয়ে তিনি নিজে দেখা করেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ ও বিশেষ নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন।
পাহাড়ে বিপর্যয়ের পর শনিবার মিরিকে পৌঁছে পরিস্থিতির সরেজমিনে পর্যালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার ও অন্যান্য শীর্ষ আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রশাসন, পূর্ত দফতর ও স্থানীয় মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় দ্রুত পুনর্গঠন চলছে। মৃতদের পরিবারে গিয়ে তিনি নিজে দেখা করেছেন এবং সাত দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ ও বিশেষ নিয়োগের আশ্বাস দিয়েছেন।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শনিবার মিরিকে পৌঁছে দুর্গত এলাকার পরিস্থিতি সরেজমিনে পর্যালোচনা করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন জেলাশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, বিভিন্ন দফতরের সচিব ও শীর্ষ আধিকারিকরা। মুখ্যমন্ত্রী জানান, প্রশাসনের সমস্ত দফতর একযোগে কাজ করছে, পূর্ত দফতর মিরিকের রাস্তাগুলি ইতিমধ্যেই পরিষ্কার করেছে এবং দুধিয়াতে একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণ শুরু হয়েছে যা সাত দিনের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, “আমাদের সিভিল অ্যাডমিন দারুণ কাজ করেছে। এত তাড়াতাড়ি কেউ কাজ করতে পারবে না। আমাদের অফিসার, আধিকারিক, শ্রমিক— সবাই ঝাঁপিয়ে পড়ে কাজ করছে। স্থানীয় মানুষও পাশে থেকে সাহায্য করছেন।”
advertisement
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী আরও জানান, নাগরকাটার দুর্গম এলাকায় তিনিও নিজে গিয়েছিলেন এবং সেখানেও ত্রাণ বিলি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার জন্য স্বাস্থ্যক্যাম্প ও নথি পুনরুদ্ধারের ক্যাম্প চালু করা হয়েছে। যাঁদের কাগজপত্র বা পরিচয়পত্র হারিয়েছে, তাঁদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। খাবারের জন্য প্রতিটি এলাকায় কমিউনিটি কিচেন চালু করা হয়েছে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যাঁরা এই বিপর্যয়ে সব হারিয়েছেন, তাঁদের পাশে সরকার আছে। কেউ চিন্তা করবেন না। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে সাত দিনের মধ্যে চাকরির নিয়োগ ও ক্ষতিপূরণের টাকা দেওয়া হবে। এটা বিশেষ নিয়োগ।” তিনি জানান, জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যাতে দ্রুত ক্ষতিপূরণ এবং পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যায়।
advertisement
মুখ্যমন্ত্রী আজ মিরিকে গিয়ে মৃতদের পরিবারগুলির সঙ্গেও দেখা করেন। মিরিকের দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন বিজেন্দ্র রাই (৬৫), উষা রাই (৬০) এবং সাতমা লামা (৩৫)। মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের বাড়িতে গিয়ে শোকপ্রকাশ করেন ও পরিবারগুলির পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
তিনি আরও জানান, পশুপতি ফাটকের কাছে লামাহাটার মতো একটি নতুন পর্যটন কেন্দ্র তৈরি করা হবে। সেখানে শ্যুটিংয়ের সুযোগ ও হোম-স্টের ব্যবস্থা থাকবে। এক বছরের মধ্যেই সেই প্রকল্প সম্পূর্ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। মমতা বলেন, “পশুপতি ফাটকের ওই এলাকা আলাদা করে সাজানো হবে। পর্যটন বৃদ্ধি পাবে, স্থানীয় মানুষেরও কর্মসংস্থান হবে।”
advertisement
এছাড়া তিনি জানান, মিরিকের লেকের অবস্থা খুব খারাপ, সেটির সংস্কারের দায়িত্ব পূর্ত দফতরকে দেওয়া হয়েছে। আগামীকাল ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ পর্যালোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রী একটি উচ্চপর্যায়ের মিটিং করবেন। সেখানে বাড়ি ও রাস্তা পুনর্গঠনের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
শেষে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই বিপর্যয়ের সময় রাজনীতি নয়, এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোই আসল কাজ। সরকার তাদের সঙ্গে আছে— প্রশাসন দিনরাত কাজ করছে।”
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
'৭ দিনের মধ্যে সেতু, ক্ষতিপূরণ ও চাকরি'! কোনও চিন্তা নেই, মিরিকে পৌঁছে বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
Next Article
advertisement
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব, নস্যাৎ করলেন প্রশান্ত কিশোর
'কেন Gen Z তাঁর কথা শুনবে...?' বিহারের যুবসমাজের উপর রাহুলের প্রভাব নস্যাৎ করলেন পিকে
  • 'যখন বিহারের মানুষই রাহুল গান্ধির কথা শুনছেন না, তখন Gen Z -রা কেন তার কথা শুনবেন?' বিহার নির্বাচনী আবহে রবিবার লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধিকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রশান্ত কিশোর

VIEW MORE
advertisement
advertisement