Siliguri: সিপিএম, তৃণমূল, কংগ্রেসের পর এবার বিজেপি, অপরাজিত তকমা ধরে রাখতে পারবেন নান্টু পাল?
- Published by:Debamoy Ghosh
Last Updated:
বিরোধীদের "দলবদলু" কটাক্ষকে "ডোন্ট কেয়ার" অপ্রতিরোধ্য নান্টুর, স্ত্রীর জয়ের ব্যাপারেও আশাবাদী (Siliguri)!
#শিলিগুড়ি: ১৯৮৮ থেকে তিনি জন প্রতিনিধি (West Bengal Municipal Elections)। রাজনৈতিক জীবনের শুরুটা লাল শিবির থেকেই। সিপিএম, তৃণমূল, কংগ্রেস হয়ে এবার বিজেপি-র হয়ে কাউন্সিলর হওয়ার লড়াইয়ে শিলিগুড়ির (Siliguri) রাজনীতিতে অতি পরিচিত মুখ নান্টু পাল (Nantu Pal)৷
প্রথম বার কাস্তে, হাতুরি চিহ্নে দাঁড়িয়েই জয়ী হন। ১৯৯৪, ১৯৯৯-তেও দূর্গ অটুট থাকে। ২০০৪-এ সিপিএম ছেড়ে যোগ দেন তৃণমূলে। ঘাসফুল প্রতীকেও ছিল দূর্গ অটুট। ২০০৯-এ কংগ্রেস। হাত চিহ্নেও বাজিমাত। তারপর রাজ্যে পালা বদলের পর ফের তৃণমূল। ২০১১-তে উপনির্বাচনেও ফের কংগ্রেসকে হারিয়ে জয়ী হন তৃণমূলের নান্টু পাল।
২০১৫-তে নিজে জেতার পাশাপাশি ১১ নং ওয়ার্ড থেকে জেতান স্ত্রী মঞ্জুশ্রী পালকে। বরো চেয়ারম্যান থেকে ডেপুটি মেয়র। পুরসভারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। একমাত্র অধরা মেয়রের চেয়ার! তিনি নান্টু পাল! অপরাজেয়। একুশের বিধানসভায় টিকিট না পেয়ে ঠিক করেন নির্দল হয়ে লড়বেন। সেই মতো মনোনয়নও জমা দেন। পরবর্তীতে ভোটের আগেই যোগ দেন গেরুয়া শিবিরে। বাইশের নির্বাচনে এবার তিনি লড়ছেন পদ্মফুল প্রতীকে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন: যানজট থেকে মুক্তি পেতে চায় শিলিগুড়ি
কাস্তে, হাত, ঘাসফুল ঘুরে এবারে পদ্মফুলে! ১২ নং ওয়ার্ড থেকে লড়ছেন নিজে। ১১ নং ওয়ার্ড থেকে বিজেপির প্রার্থী তাঁর স্ত্রী মঞ্জুশ্রী পাল। ভোটের দিন ঘোষণা হতেই স্বামী-স্ত্রী দু'জনেই নেমে পড়েছেন ময়দানে। প্রতীক বদলালেও দু'টি আসনেই জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী পাল দম্পতি।
advertisement
বার বার করে রঙ বদলানোর পরও জয়ের পিছনে রসায়নটা কী? নান্টু পালের দাবি, 'প্রতীক বা দল বড় ব্যাপার নয়। মানুষের পাশে সর্বদা থাকি। যা যা প্রতিশ্রুতি দিই, তা পালনে ১০০ শতাংশ দিই। তাই মানুষ পাশে আছে। এবারেও থাকব।'
advertisement
সাত সাত বারের কাউন্সিলর। পুরযুদ্ধে অপরাজেয় নান্টু পাল অষ্টমবারেও কি শেষ হাসি হাসবেন? আত্মবিশ্বাসী পাল দম্পতি। অন্যদিকে "দলবদলু" বলে নান্টু পালকে পালটা কটাক্ষ শুরু করেছে তৃণমূল সহ তাঁর প্রতিপক্ষ দলের নেতারা।
সিপিএমের অশোক ভট্টাচার্য বলেন, 'বার বার দল বদলের একটা প্রভাব তো পড়বেই। মানুষের মনে এ নিয়ে প্রশ্ন আছে।'
আর তৃণমূল নেতা গৌতম দেব বলেন, 'গিনেস বুকে নাম তুলে দেওয়া এই দলবদলুদের মানুষ প্রত্যাখান করবে।' প্রসঙ্গত ১১ নং ওয়ার্ডে প্রার্থীই দেয়নি বাম এবং কংগ্রেস। তাই লড়াইটা তৃণমূল এবং বিজেপি-র মধ্যে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডেও সংগঠন দুর্বল বলে স্বীকার করেছেন অশোক ভট্টাচার্য। পারবেন কি জয়ের ধারা বজায় রাখতে? নির্বাচন ১২ ফেব্রুয়ারি। আত্মবিশ্বাসী নান্টু পাল!
কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গের সব লেটেস্ট ব্রেকিং নিউজ পাবেন নিউজ 18 বাংলায় ৷ থাকছে দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের খবরও ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং সব গুরুত্বপূর্ণ খবর নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ এর পাশাপাশি সব খবরের আপডেট পেতে ডাউনলোড করতে পারেন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
January 27, 2022 11:29 AM IST