বক্সা বনাঞ্চলের সংরক্ষিত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরাতে কেন্দ্রের সাহায্য চাইল রাজ্য

Last Updated:

বাঘের সন্ধানে তল্লাশি চলছে, জানালেন বনমন্ত্রী। 

বক্সা বনাঞ্চলের সংরক্ষিত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরাতে কেন্দ্রের সাহায্য চাইল রাজ্য
বক্সা বনাঞ্চলের সংরক্ষিত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরাতে কেন্দ্রের সাহায্য চাইল রাজ্য
আবীর ঘোষাল, কলকাতা: বাঘের সন্ধান চলছে গোটা বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের এলাকা জুড়ে । ট্র‍্যাপ ক্যামেরায় বাঘের দেখা মিললেও স্বচক্ষে বাঘের দর্শন এখনও পাননি বন দফতরের আধিকারিকরা। রাজ্য বন দফতর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই বক্সা প্রকল্পের মধ্যে থাকা গ্রামগুলিকে সরানো হবে। তাদের অন্যত্র পুনর্বাসন দেওয়া হবে । এর পাশাপাশি কেন্দ্রের প্যাকেজ যা নির্ধারিত আছে তাও পাইয়ে দেওয়া হবে বাসিন্দাদের। এই বিষয়ে কেন্দ্রের সাহায্য চেয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে, বিজেপির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের করা এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বনমন্ত্রী বক্সা নিয়ে তাদের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন।
রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, দীর্ঘ বেশ কয়েক বছর ধরে বক্সার মধ্যে গ্রামের বাসিন্দারা বসবাস করেন ৷ ১৯৩৮ সালের আগে এই অঞ্চলে বনসৃজনের জন্যে কিছু মানুষকে আনা হয়। সেই সব মানুষ অরণ্যকে ভালবেসে আর তাদের পুরনো জায়গায় ফেরত যাননি। তারা বাসস্থান তৈরি করেন। সেখানেই তাদের পরিবার তৈরি হয়। ২০২১ সালের তথ্য বলছে, বক্সায় এই মুহূর্তে ১৬টি গ্রাম রয়েছে। যার বাসিন্দার সংখ্যা প্রায় ৮০০০। এই মানুষগুলিকেই অন্যত্র সরানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ‘‘আমরা জোর করে কাউকে উচ্ছেদ করতে পারিনা। সেটা আমাদের নীতিবিরুদ্ধ। বাঘ বা বন্যপ্রাণের সঙ্গে মানুষের একটা কনফ্লিক্ট অবশ্যই থাকে। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের অন্যত্র সরানো হবে ৷ পরিবর্তে আমরা প্যাকেজ, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করছি।’’
advertisement
advertisement
রাজ্য বন দফতর সূত্রে খবর, আপাতত দুই গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা হয়েছে ৷ এর মধ্যে ভুটিয়া বস্তি। যেখানে বসবাস করে ৩০টি পরিবার ৷ কথা হয়েছে গাঙ্গুটিয়া গ্রামের সঙ্গে। সেখানে বসবাস করে ২০১টি পরিবার।রাজ্যের বন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ‘‘কেন্দ্রের বাঘ নিয়ে একাধিক প্রকল্প আছে। তার জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার ফান্ড দেয়। যারা সাবালক হয়ে যায় তাদের ১৫ লাখ অর্থ দেওয়া হয়।’’ তবে এখনই সিদ্ধান্ত পুরোপুরি হয়ে গিয়েছে, সেই বিষয়ে নিশ্চিত নন বন দফতরের আধিকারিকরা। তবে গাঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়া বস্তির বাসিন্দারা অন্যত্র সরে যাবে বলে আশাবাদী রাজ্য সরকার। রাজ্যের ধারণা ৪ মাসের মধ্যে এই শিফটিং সম্ভব হবে। এর জন্যে রাজ্যের হাতে পড়ে থাকা ফাঁকা জমি খোঁজা হচ্ছে। সেখানে চলে যেতে পারবেন বাসিন্দারা।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/উত্তরবঙ্গ/
বক্সা বনাঞ্চলের সংরক্ষিত এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরাতে কেন্দ্রের সাহায্য চাইল রাজ্য
Next Article
advertisement
সকালে মা দরজা খুলতেই...বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারাল অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
বিছানায়, মশারিতে ছোপ ছোপ রক্ত! শরীরের একাধিক ধারালো অস্ত্রের আঘাত, দেগঙ্গায় ভয়ঙ্কর খুন
  • সাতসকালে ঘর থেকে উদ্ধার এক ব্যক্তির রক্তাক্ত মৃতদেহ

  • দেগঙ্গার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘনাচ্ছে রহস‍্য।

  • পুলিশের প্রাথমিক অনুমান মদ্যপানের আসরেই খুন করা হয়েছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement