North 24 Parganas: ঐতিহ্যের দর্শন থেকে বঞ্চিত পর্যটকরা! সমস্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও

Last Updated:

সাধারণ একজন সিপাহী থেকে ইংরেজ শাসনকালে ভারতের সর্বপ্রথম প্রতিবাদী হিসেবে গর্জে উঠেছিলেন মঙ্গল পান্ডে।

+
গভর্নর

গভর্নর হাউজ

#উত্তর ২৪ পরগনা : সাধারণ একজন সিপাহী থেকে ইংরেজ শাসনকালে ভারতের সর্বপ্রথম প্রতিবাদী হিসেবে গর্জে উঠেছিলেন মঙ্গল পান্ডে। সিপাহী বিদ্রোহ সফল না হলেও পরবর্তী সময়ে ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের শুরু হয়েছিল তারই হাত ধরে। মঙ্গল পান্ডের সাথেই আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রয়েছে ব্যারাকপুরের নাম। এই ব্যারাকপুর এর মাটিতেই ফাঁসি কাঠে ঝোলানো হয়েছিল তাঁকে। ব্যারাকপুরের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে রয়েছে স্বাধীনতা সংগ্রামের নানা ইতিহাস। পরবর্তী সময়ে মঙ্গল পান্ডে নামে তৈরি হয়েছে উদ্যান, রাস্তা। স্বাধীনতা দিবসে ব্যারাকপুর গঙ্গা তীরবর্তী মঙ্গল পান্ডে উদ্যানে করা হয় সরকারি অনুষ্ঠান।
তবে করোনা পরবর্তী সময় থেকে সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে ব্যারাকপুরের এই ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন জায়গা। যা দেখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন পর্যটকরা। ফলে মার খাচ্ছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। কওনা পরবর্তী পরিস্থিতি থেকে পর্যটকদের আনাগোনা অনেকটাই কমে গিয়েছে এই দর্শনীয় স্থানগুলি বন্ধ থাকার কারণে। তাই দেড় বছরের ওপর বন্ধ রয়েছে গান্ধী ঘাটও। আশেপাশের উদ্যান গুলি চালু হলেও কেন বন্ধ করে রাখা হয়েছে এই ঐতিহ্যবাহী গান্ধী ঘাট প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গেট বন্ধ করে ডিজে, পিকনিক! কাঠগড়ায় স্থানীয় ক্লাব
যদিও স্বাধীনতা দিবসের এদিনের সরকারি অনুষ্ঠান মঙ্গল পান্ডে ঘাটে হলেও, স্থানীয়দের জন্য পরবর্তী সময় বন্ধই থাকবে গান্ধীঘাট বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। এই ব্যারাকপুরেই রয়েছে গভর্নর হাউস, তাত্ত্বিক সামনেই ইংরেজ আমলে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়েছিল সিপাহী বিদ্রোহের নায়ক মঙ্গল পান্ডে কে। সেখানেই করা রয়েছে শহীদ বেদী। গভর্নর হাউজে ঢোকার জন্য নিতে হয় অনুমতি সর্বসাধারণের জন্য অবশ্য ভেতরে প্রবেশ নিষিদ্ধই রাখা হয়েছে। নির্দিষ্ট সময় মেনে একটি সংগ্রহশালা থাকলেও তা অধিকাংশ দিনই বন্ধ থাকে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ফলে পর্যটকদের এসেও ফিরে যেতে হয় এই সমস্ত ঐতিহ্যবাহী স্থান দর্শন ব্যতি রেখেই।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুনঃ নতুন জেলা ইছামতি, পুরনো বনগাঁর নাম নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত এলাকাবাসী!
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের কাছে আবেদন জানালেও এ বিষয়ে কোন সুরাহা মেলেনি। সপ্তাহের শনিবার ও রবিবার ও ছুটির দিন বাদ দিয়ে তেমনভাবে পর্যটকদের আনাগোনা হয় না বললেই চলে। হাতেগোনা পর্যটক আসলেও তারা এই দর্শনীয় স্থানগুলি ঠিকভাবে দেখতে না পেয়েই ক্ষুব্ধ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন। ফলে স্থানীয় টোটো চালক থেকে শুরু করে এই অঞ্চলে বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের সংসার চালাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী ব্যারাকপুর এর দর্শনীয় স্থানগুলি পুনরায় চালু করার দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয়রাও।
advertisement
Rudra Narayan Roy
বাংলা খবর/ খবর/উত্তর ২৪ পরগণা/
North 24 Parganas: ঐতিহ্যের দর্শন থেকে বঞ্চিত পর্যটকরা! সমস্যায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement