#লখনউ: তবে কি ঘুরে গেল উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনের (Uttar Pradesh Election) ভরকেন্দ্র! দলের ভাঙন কী বাধ্য করল বিজেপি-কে রামমন্দির ও হিন্দুত্ববাদী (Ram Mandir) রাজনীতির বৈতরণী ছেড়ে দলিত ভোটব্যাঙ্কের দিতে নজর ঘোরাতে। না হলে যে দিন লখনউয়ের ভরা সভায় অখিলেশের হাত ধরে লাল টুপি, উত্তরীয় পরে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তাঁরই মন্ত্রিসভার প্রাক্তন মন্ত্রী, সে দিনই দুপুরে দলিত পরিবারের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজ সারলেন কেন গোরক্ষপুরের যোগী আদিত্যনাথ!
सामाजिक समरसता का ध्येय लिए सतत बढ़ते जाना है... गोरखपुर स्थित झुंगिया में आज श्री अमृत लाल भारती जी के घर पर खिचड़ी का प्रसाद ग्रहण करने का सौभाग्य प्राप्त हुआ। श्री भारती जी का आभार एवं हार्दिक धन्यवाद! pic.twitter.com/0DrBA263ca
— Yogi Adityanath (@myogiadityanath) January 14, 2022
শেষ কয়েকদিন উত্তরপ্রদেশের নির্বাচনের আলোচনার শীর্ষে ছিল একটি বিষয়, তা হল দলিত বিধায়ক ও মন্ত্রীদের বিজেপি ত্যাগ। তার মধ্যে অযোধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রার্থী হওয়ার ঘটনা কিছুটা বুব্দুদের উঠে এলেও তা মিলিয়ে গিয়েছে দ্রুত। বৃহস্পতিবার আবার কংগ্রেস প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে কিছুটা প্রচারের আলো কেড়ে নিয়েছে। সব মিলিয়ে বিজেপি-র উপর 'আলো কমে আসিতেছে' বলেই কী শেষ পর্যন্ত দলিত ভোটব্যাঙ্কের চেনা ছকে ফিরলেন আদিত্যনাথ?
আরও পড়ুন- চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়া হোক পুরভোট, কমিশনকে পরামর্শ হাইকোর্টের
মকর সংক্রান্তির দিন অমৃতলাল ভারতীর বাড়িতে মাধ্যাহ্নভোজ সারেন যোগী। তার ছবিও ট্যুইট করেন। খাওয়া সেরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ''অখিলেশ যাদব সরকারের আমলে মাত্র ১৮ হাজার মানুষ প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পেয়েছিলেন। পাঁচ বছরে একজনকে ঘরে দিতে পেরেছিল সমাজবাদী পার্টির সরকার। অন্য দিকে বিজেপি-র আমলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যের ৪৫ লক্ষ মানুষ বাড়ি পেয়েছেন। সরকার গরিব ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।'' উন্নয়নের এই বার্তা তুলে ধরে যোগীর মত, সমাজবাদী পার্টির আমলে উত্তরপ্রদেশে সামাজিক শোষণ হয়েছে শুধু, সামাজিক ন্যায় হয়নি।
আরও পড়ুন: রাস্তায় হঠাৎ খুলে গেল মশারি, তার মধ্যে... চন্দননগরে বিজেপি-র অভিনব কৌশল
পাশাপাশি আদিত্যনাথের দাবি, উত্তরপ্রদেশে এখনও ১ কোটি ৩৬ লক্ষ পরিবার শৌচাগার পেয়েছে উজ্জ্বলা যোজনায়। ডবল ইঞ্জিন সরকার থাকার কারণেই এতটা উন্নতি হতে পেরেছে। যাঁরা বিভেদের রাজনীতি করে, তাঁদের হাত দিয়ে কোনওদিনই উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। দলিত ভোট বড় বালাই, সেই কারণে নির্বাচন যত কাছে আসছে, ততই দলিত ভোটব্যাঙ্ক শক্তিশালী করার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দু-পক্ষই। কিন্তু একই দিনে এমন দলিত রাজনীতির ময়দানে দুই পক্ষের অধিনায়কের নেমে পড়া কি নিখাদ কাকতালীয়, নাকি সমানে সমানে লড়ার বার্তা?
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।