#নয়াদিল্লি: জম্মু-কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা ইয়াসিন মালিকের জন্য ইউএপিএ আইনে মৃত্যুদণ্ডের জন্য আবেদন করেছিল ন্যাশানাল ইনভেসটিগেশন এজেন্সি বা এনআইএ। কিন্তু এনআইএ-র বিশেষ আদালত এদিন তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা শোনানো হল। সঙ্গে বুধবার নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের প্রধানকে জঙ্গিদের অর্থসাহায্যের অপরাধে ১০ লক্ষ টাকার জরিমানাও করেছে দিল্লিতে এনআইএ-র বিশেষ আদালত। (Yasin Malik Sentenced Life Imprisonment)
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে অশান্ত কাশ্মীর উপত্যকায় বিচ্ছিন্নতাবাদী কার্যকলাপ চলেছে ইয়াসিন মালিকের ইশারায়। জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্টের নেতা এই ইয়াসিন মালিক। তার বিরুদ্ধে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন প্রয়োগ করেছে এনআইএ। এই আইনে মালিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তের পর এনআইএর অভিযোগ, এই ইয়াসিন মালিকই উপত্যকার জঙ্গিদের অর্থসাহায্য করত। আদালতে মালিক দোষীও প্রমাণিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: লা জবাব! নরেন্দ্র মোদির মাথায় কখনও জাপি-কখনও পাগড়ি, আপনি দেখেছেন?
বুধবার ইয়াসিন মালিক আদালতে বলেন, 'কাশ্মীরে বুরহান ওয়ানির হত্যার ৩০ মিনিটের মধ্যে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। অটল বিহারী বাজপেয়ী আমাকে পাসপোর্ট দিয়েছিলেন। তার জোরেই আমি যে কোনও মন্তব্য করতে পারি। আমি কোনও ক্রিমিনাল নই।' ১৯ তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছিল এনআইএ আদালত। সেদিন আদালতে ইয়াসিন বলেন, অস্ত্র ছেড়ে আমি গান্ধির আদর্শ মেনে চলি এখন।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত সিজন ৩ কি হবে না? বড় খবর দিলেন জিতেন্দ্র কুমার
২০১৯ সালে পুলওয়ামা হামলার পর উপত্যকায় জোর ধরপাকড় শুরু করে ভারতীয় সেনা। তখনই ইয়াসিন মালিক-সহ বেশ কিছু বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতার জঙ্গিযোগের অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে। সে সময়ে গ্রেফতার হয় ইয়াসিন। এদিন আদালতে ইয়াসিন মালিক দাবি করেন, ১৯৮৪ সালের পর অস্ত্র ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। তার পর থেকে তিনি অহিংস রাজনীতির পথেই রয়েছেন। মালিকের সাজা ঘোষণার সময় কাশ্মীরের বিভিন্ন জায়গায় পাথর ছোঁড়ার ঘটনা ঘটে। শ্রীনগরের বিভিন্ন এলাকাতেই দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতির জেরে সেনা তত্পরতা বাড়ানো হয়েছে উপত্যকায়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: NIA, Yasin Malik