#নয়াদিল্লি : দলের দুই সাংসদ-সহ বিরোধী দলের মোট ১২ জনকে সাসপেন্ড করার প্রতিবাদে গান্ধি মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূলের সাসপেন্ড হওয়া দুই সাংসদ, দোলা সেন (Dola Sen) ও শান্ত ছেত্রী (Shanta Chetri)। সাসপেনশন ফিরিয়ে নেওয়ার দাবিতে শুরু হয়েছে ধর্না। তৃণমূলের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায় (Sukehndu Sekhar Roy) জানিয়েছেন, এই ধর্নায় যোগ দেওয়ার জন্য অন্য দলের সাংসদদেরও আমন্ত্রণ জানানো হবে।
গতকাল দুপুরে হঠাৎ করেই তৃণমূলের দু'জন-সহ বিরোধী দলের ১০ সাংসদ -কে সাসপেন্ড করা হয়। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে বিরোধী শিবির। কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলের তরফে একটি বিবৃতি জারি করা হয়। সেই যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করে কংগ্রেস, ডিএমকে, সমাজবাদি পার্টি, এনসিপি, আরজেডি, সিপিএম, সিপিআই, আইইউএমএল, এলজেডি, জেডিএস, এমডিএমকে, টিআরএস এবং আম আদমি পার্টি।
শাস্তির কোপে পড়া ১২ জন সাংসদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের ছ'জন, সিপিএমের এলামারান করিম, শিবসেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদী ও অনিল দেশাই, সিপিআইয়ের বিনয় বিশ্বম। তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন দোলা সেন এবং শান্তা ছেত্রী। রাজ্যসভার তরফে এই ১২ জন সাংসদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের পদকে অসম্মান করা, সংসদীয় আইন অগ্রাহ্য করে সংসদের কাজে বিঘ্ন ঘটানো, দুর্ব্যবহার করা, হিংসাত্মক আচরণ করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের দেখানো পথেই বাকিরা? কংগ্রেসের বৈঠক এড়ালো জোটসঙ্গী শিবসেনাও
গত বাদল অধিবেশন চলাকালীন ১১ আগস্ট তাঁদের বিরুদ্ধে অসংসদীয় আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সেদিনই রাজ্যসভায় ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ করার সময় অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তা ছেত্রী। ফলে তাঁকে শাস্তি দেওয়ায় ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে আলোচনার তালিকায় ছিল বাঁধ নিরাপত্তা বিল। সেই মতো রাজ্যসভায় নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলেন তৃণমূল সাংসদরা। হঠাৎই সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি রাজ্যসভায় জানান, অসংসদীয় আচরণ করায় বেশ কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার পরেই রাজ্যসভা থেকে পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করা হয় দোলা সেন, শান্তা ছেত্রী, প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদি-সহ বিরোধী দলের ১২ জন সাংসদকে।
আরও পড়ুন: লক্ষ্য ২০২৪, মুম্বইয়ে শরদ পাওয়ার, উদ্ধব ঠাকরেদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন মমতা
সুখেন্দুশেখর রায় এই নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "এই বিষয়টি কারও আগে থেকে জানা ছিল না। এমনকী উপদেষ্টা কমিটিতেও এই নিয়ে কোনও আলোচনা করা হয়নি।" তিনি বলেন, "যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত করা উচিত। চেয়ারম্যান একটি কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। কমিটি কী রিপোর্ট দিয়েছে আমরা জানি না। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁদের কোনও সুযোগ দেওয়া হয়নি। এটা সংবিধানে দেওয়া ন্যায়ের অধিকার লঙ্ঘন।" তৃণমূলের দাবি, কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তাঁকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়াই সাংবিধানিক রীতি। এখানে কোনও সুযোগ না গিয়ে কর্তৃপক্ষ সংবিধানকে অসম্মান করেছে। সুখেন্দুশেখর বলেন, "এটা অগণতান্ত্রিক, বেআইনি, অসাংবিধানিক এবং অবৈধ।" যে অভিযোগে তাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, সেই ঘটনার ভিডিও রেকর্ড প্রকাশ করারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।
রাজীব চক্রবর্তী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Dola sen