#নয়াদিল্লি: বাতাসে শুধু দূষণের বিষ (Delhi Air Pollution)। শ্বাস নিতে পারছে না দেশের রাজধানী (Delhi Air Pollution)। এই পরিস্থিতিতে গত সোমবারই স্কুল খুলেছে দিল্লি সরকার। তবে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের কড়া ধমকের পরই দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই ঘোষণা করেছেন, শুক্রবার থেকে রাজধানীর সমস্ত স্কুল ফের বন্ধ থাকবে (Delhi Schools Shut)। পরবর্তী নির্দেশ আসা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব স্কুল। গত সোমবার স্কুল খোলার নির্দেশের সময় মনে করা হচ্ছিল, দূষণের (Delhi Air Pollution) কবল থেকে ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে দিল্লি (Delhi Schools Shut)। কিন্তু বাস্তবটা ঠিক তার একেবারেই উল্টো বলে ধরা পড়ছে। (Delhi Schools Shut)
এদিন সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্ন, পূর্ণবয়স্করা যেখানে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করছে, সেখানে এমন বায়ু দূষণের মধ্যে ৩-৪ বছরের ছোট ছোট পড়ুয়াদের কেন স্কুলে পাঠানো হচ্ছে? এদিন কেজরিওয়ালের সরকারকে তুলোধনা করে শীর্ষ আদালত। এরপরই দিল্লি সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় শুক্রবার থেকে ফের বন্ধ করে দেওয়া হবে সমস্ত স্কুল। দিল্লির পরিবেশ মন্ত্রী গোপাল রাই ঘোষণা করার সময় জানিয়েছেন, 'ধীরে ধীরে পরিবেশের উন্নতি হবে, এমন পূর্বাভাস পেয়েই আমরা স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু দূষণ ফের বাড়তে শুরু করায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়ে শুক্রবার থেকে স্কুল বন্ধ রাখা হবে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত তা বন্ধই রাখা হবে।'
আরও পড়ুন: নতুন টার্গেট নিয়ে ঝাঁপাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়! সব নজর ১৩ ডিসেম্বরের দিকে
এর আগেও সুপ্রিম কোর্ট ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল কেন্দ্র, দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী রাজ্যগুলিকে। যেভাবে শিল্প ও যানবাহন থেকে উদ্ভূত দূষণের মাত্রা বাড়ছে এবং সেটাই বায়ুর গুণগত মান হ্রাসের প্রধান কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে সে বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে শীর্ষ আদালত। এদিন সুপ্রিম কোর্টের কাছে তীব্র ভর্ৎসনা শুনেই খোলার চারদিনের মাথায় ফের স্কুল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে কেজরি সরকার। এদিন কেজরিওয়ালের সরকারের দূষণ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমনা।
আরও পড়ুন: ভারতেও ঢুকে পড়ল ওমিক্রন! খোঁজ মিলল দুই আক্রান্তের, জানালো কেন্দ্র
প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, 'আমার মনে হয় দূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার কিছুই করেনি, শুধুই সময় নষ্ট করেছে।' গত মাসে দিওয়ালির সময় থেকেই দিল্লির দূষণ ভয়ংকর চেহারা ধারণ করে। নষ্ট হয়ে যাওয়া শস্যের গোড়া পোড়ানোর ধোঁয়ায় সৃষ্ট দূষণকে কেন্দ্র করে শুরু হয় প্রতিবারের মতো পারস্পরিক চাপানউতোরের খেলা। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায়, ১৩ নভেম্বর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় সমস্ত স্কুল-কলেজ। অবশেষে গত সোমবার থেকে ফের খুলে দেওয়া হয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। কিন্তু চলতি সপ্তাহেই তা বন্ধের নির্দেশ জারি করল আপ সরকার। আগামী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে সমস্ত ধরনের নির্মাণ সংক্রান্ত কাজও। তারই মধ্যে ফের করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন মাথা ব্যথা বাড়িয়েছে দেশবাসীর।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।