#নয়াদিল্লি : প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিরাপত্তা (PM Modi security breach) গাফিলতি মামলা পৌঁছল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। আগামিকাল প্রধান বিচারপতি (Supreme Court) এনভি রামান্নার বেঞ্চে হবে শুনানি। আইনজীবী মনিন্দর সিং আদালতে মামলটি উত্থাপন করেন। তার আবেদনে উল্লেখ করেছেন নিরাপত্তা গাফিলতি নিয়ে পাঞ্জাব সরকারকে উপযুক্ত নির্দেশ দেওয়া হোক। নিরাপত্তা গাফিলতি করা আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক এবং এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার আর্জি জানান প্রবীণ আইনজীবী মনিন্দের সিং।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ! একলাফে ৯১ হাজার ছুঁই ছুঁই দৈনিক সংক্রমণ! করোনা-কম্পে কাঁপছে গোটা দেশ...
এদিকে নিরপত্তার গাফিলতি নিয়ে পঞ্জাব সরকার তিন সদস্যের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সেই কমিটি আগামী তিন দিনের মধ্যে রিপোর্ট পেশ করবে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ও স্বরাস্ট্র সচিবের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়েছে।গতকাল পঞ্জাবে গিয়ে কৃষক বিক্ষোভের সামনে পড়তে হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Narendra Modi)। প্রায় কুড়ি মিনিট ধরে রাস্তায় আটকে থাকে তার কনভয়। প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থেকে বিজেপি নেতারা। পঞ্জাবের কংগ্রেস সরকারকে নিশানা করে গেরুয়া শিবির। অন্যদিকে কংগ্রেস বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন।
মুখ্যমন্ত্রী চরণজিত সিং চান্নি অবশ্য বলেন, ‘‘নিরাপত্তায় কোনও গাফিলতি ছিল না। উনি বাহানা খুঁজছিলেন।’’কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরাণি বলেন, ‘‘নিরাপত্তায় গলদের জন্য ২০ মিনিট দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi security breach) । এমন ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি দেশে। প্রধানমন্ত্রীর কনভয়ের জন্য রাস্তা ফাঁকা করা স্থানীয় পুলিশের কাজ। তা কেন করা হল না? এটা চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু না। আমরা পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি।’’
এদিকে, মন্ত্রিসভার বৈঠকের আগে আজ মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির বৈঠক হয়। বৈঠকে পাঞ্জাবে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা গাফিলতি (PM Modi security breach) নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে। উল্লেখ্য মন্ত্রিসভার নিরাপত্তা বিষয়ক কমিটির সদস্য মাত্র তিনজন। যার মধ্যে অন্যতম হলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বাকি দুই সদস্য হলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
অন্যদিকে গতকালই পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ সিং চান্নি বিজেপি-র সব অভিযোগ খারিজ করে বলন, ‘‘রাত ৩টে পর্যন্ত সব রাস্তা খালি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সড়কপথে আসার কোনও পরিকল্পনা ছিল না। উনি বিমানবন্দরে এসে শেষ মুহূর্তে সড়কপথে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। আমাদের তরফ থেকে নিরাপত্তায় গাফিলতির কোনও প্রশ্নই ওঠে না। বিজেপি মিছিলের ডাক দিয়েছিল। কোনও জনসভা ছিল না। ওতে ৭০০ লোক হয়েছিল। তাই বাহানা করে মিছিল বন্ধ করা হয়েছে। ইচ্ছে থাকলেই পৌঁছনো যেত। অন্য রাস্তা দিয়েও যাওয়া যেত।’’
বুধবার পঞ্জাবের হুসেইনিওয়ালায় জাতীয় শহিদ স্মারকে একটি কর্মসূচির পর ফিরোজপুরে একটি জনসভা ছিল প্রধানমন্ত্রীর। কথা ছিল, সকালে ভাতিন্দা বিমানবন্দরে নেমে কপ্টারে করে গন্তব্যে পৌঁছবেন তিনি। কিন্তু আবহাওয়া খারাপ থাকায় বিমানবন্দর থেকে গাড়িতেই সড়কপথে রওনা দেন তিনি। ওই যাত্রাপথে একটি উড়ালপুলে ১৫-২০ মিনিট আটকে ছিল প্রধানমন্ত্রীর কনভয়। তার পর সেখান থেকে কনভয় ঘুরিয়ে বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হয় মোদিকে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: PM Narednra Modi, Punjab, Supreme Court