#বেঙ্গালুরু: 'মোরা এক বৃন্তে দু'টি কুসুম হিন্দু মুসলমান'... কাজি নজরুল ইসলামের লেখা কবিতার লাইন নিশ্চয় মনে আছে? আমাদের দেশের মানুষের জন্যই লেখা এই কথা গুলো। ভারতবর্ষ এমন একটা দেশ যেখানে সব ধর্মের মানুষরা মিলে মিশে থাকে। কিন্তু তারপরও বিবাদ, দাঙ্গা এসব আমাদের দেখতে হয়। 'লাভ-জিহাদ'-এর মতো শব্দ তৈরি করা হয়। তবে এ কথাও সত্যি সারা দেশের মানুষের মানসিকতা এক নয়। যারা এ ধরণের বিভেদ তৈরি করার চেষ্টা করে তারা শেষ পর্যন্ত কিন্তু সফল হয় না। জয় হয় সেই মনুষত্বেরই। যেমন মন জয় করে নিলেন বেঙ্গালুরুর এক মুসলিম বাসিন্দা এইচএমজি বাশা।
Karnataka: HMG Basha, a resident of Kadugodi in Bengaluru donated land for construction of a Hanuman Temple in Mylapura.
He says, "I used to see many people struggle while offering prayers as the temple is small. So, I decided to donate a part of my plot of land." pic.twitter.com/JaxR2DJaAv
— ANI (@ANI) December 8, 2020
হনুমান মন্দির তৈরির জন্য নিজের এক কোটি টাকার জমি দান করলেন বাশা। বেঙ্গালুরুর মায়লাপুরাতে এনএইচ-৭৫ রোডের ধারে একটি হনুমান মন্দির আছে। এই মন্দিরের সামনে প্রতি বছর উৎসব হয়। মেলা হয়। বহু মানুষ আসেন। কিন্তু রাস্তার ধারে ছোট্ট জমিতে এই মন্দির থাকায় মানুষের অসুবিধা হয়। তাছাড়া মন্দিরটিও ভগ্নপ্রায়। এই অবস্থা চোখে পড়তেই বেঙ্গালুরুর ব্যবসায়ী বাশা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। এই জমির পাশের বাশার বেশ কয়েক বিঘা জমি রয়েছে। রাস্তার ধারে জমি হওয়ায় বেশ দাম সেই জমির। চাইলে চড়া দামে এই জমি তিনি বেঁচে দিতে পারতেন। কিন্তু তা না করে নিজের দেড় বিঘা জমি হনুমান মন্দিরকে দান করেন তিনি। যার দাম ১ কোটি টাকা।
Karnataka: HMG Basha, a resident of Kadugodi in Bengaluru donated land for construction of a Hanuman Temple in Mylapura.
He says, "I used to see many people struggle while offering prayers as the temple is small. So, I decided to donate a part of my plot of land." pic.twitter.com/JaxR2DJaAv
এরপর গ্রামের মানুষ ও ওই মন্দিরের ট্রাস্ট মিলিত ভাবে বাশা ও তাঁর স্ত্রীর ছবি মন্দিরের সামনে টানিয়ে দেন। গ্রামে সকলের মুখে মুখে এখন শুধু বাশার কথাই ঘুরছে। নতুন জমিতে ইঁট গাঁথা হয়ে গিয়েছে। মন্দির তৈরিতেও টাকা দিয়ে সাহায্য করছেন বাশা। এই ঘটনা জানাজানি হতেই সকলে বলা শুরু করেছেন একেই বলে হিন্দু মুসলিম ভাই ভাই। ভারতবর্ষের মতো দেশেই শুধু মাত্র এই ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা দেখা যেতে পারে। সব ধর্মের প্রতি সকলের শ্রদ্ধাই তো একতার আসল পরিচয়। সত্যিই নজির গড়েছেন বাশার।