হারিয়ে গিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের চাবি!

Last Updated:
#পুরী: ধন-সম্পদের মালিকানার নিরিখে এ দেশের ধনীতম মন্দিরগুলির মধ্যে একটি হল ওড়িশার জগন্নাথ মন্দির ৷ মন্দিরে রয়েছে দু’টি রত্ন ভাণ্ডার ৷ যেগুলি হল-‘ভিতর ভাণ্ডার’ এবং ‘বাহার ভাণ্ডার’ ৷ মন্দিরে যখন কোনও উৎসব হয়, তখন জগন্নাথ, বলভদ্র ও সুভদ্রাকে অলঙ্কার দিয়ে সাজিয়ে তুলতে ‘বাহার ভাণ্ডারের’ অলঙ্কারই ব্যবহার করা হয় ৷ আর মন্দিরে যে দু’টি রত্ন ভাণ্ডার রয়েছে, তাতে রয়েছে সাতটি কক্ষ ৷ কিন্তু তার বেশির ভাগই বন্ধ থাকে ৷ এই রত্ন ভাণ্ডারে যে কত পরিমাণ ধন-সম্পত্তি রয়েছে, তার সঠিক পরিমাণ জানা নেই মন্দির কর্তৃপক্ষের ৷ আর খোঁজ মিলছে না সেই রত্নভাণ্ডারের চাবির ৷
এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসাতে পুরীর মন্দিরে হইচই শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের ম্যানেজিং কমিটির এক সদস্য রামচন্দ্র দাস মহাপাত্র জানান, গত ৪ এপ্রিলে চাবি পাওয়া যায়নি ৷
গত ৪ এপ্রিল ওড়িশা হাইকোর্টের নির্দেশে দীর্ঘ ৩৪ বছর পর পরিদর্শনের জন্য জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারে ১০ জন আধিকারিকের প্রবেশ করার কথা ছিল ৷ কিন্তু জানা যাচ্ছে, চাবি খুঁজে না পাওয়ার কারণে রত্ন ভাণ্ডারের পরিদর্শন করা যায়নি ৷
advertisement
advertisement
৩৪ বছর আগে ১৯৮৪ সালে রত্ন ভাণ্ডারের সাতটি কক্ষের মধ্যে মাত্র তিনটি খোলা হয়েছিল পরিদর্শন করার জন্য ৷ ২০১৬ সাল থেকেই ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে (এএসআই) পুরীর মন্দিরের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করছে ৷ তবে, এবার চাবি না পাওয়ার কারণেই সার্চ লাইট দিয়ে বাইরে থেকেই কক্ষটির অবস্থা পর্যবেক্ষণ করতে হয় তাঁদের ৷
এক সংবাদ সংস্থাকে রামচন্দ্র দাস মহাপাত্র জানান, মন্দির কর্তৃপক্ষ বা পুরী ডিস্ট্রিক্ট ট্রেজারি কারও কাছেই এই চাবি নেই ৷ এই ঘটনায় ওডিশা সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন পুরীর শঙ্করাচার্য স্বামী নিশ্চলানন্দ সরস্বতী ৷ পাশাপাশি এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের দিকে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে বিজেপি ৷ সাংবাদিকদের কাছে বিজেপির মুখপাত্র পিতাম্বর আচার্য জানান, মুখ্যমন্ত্রীকে জবাবদিহি করতে হবে কিভাবে রত্নরত্নভাণ্ডারের চাবি হারিয়ে যেতে পারে, আর কে এর জন্য দায়ী৷ রাজ্য সরকার এই ইস্যুতে এখনও কোনও পদক্ষেপ না নেওয়াতেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি ৷
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
হারিয়ে গিয়েছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রত্ন ভাণ্ডারের চাবি!
Next Article
advertisement
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
দুর্গাপুর স্টেশনে গেলে আর ফিরতে ইচ্ছে হবে না! ২৪ ঘণ্টা মিলবে পানীয় জল আর অফুরন্ত খাবার
  • দুর্গাপুর স্টেশনে ২৪ ঘণ্টা ভেন্ডিং মেশিনে স্বাস্থ্যকর খাবার ও পানীয় পাওয়া যাবে

  • UPI-দিয়ে সহজেই পেমেন্ট করা যাবে

  • দুর্গাপুর স্টেশন স্মার্ট, পরিষ্কার এবং যাত্রী-সহযোগী স্টেশন হয়ে উঠছে

VIEW MORE
advertisement
advertisement