গতি বেশি থাকাতেই কি দুর্ঘটনা! কোঝিকোড় কাণ্ডে নয়া তথ্য

Last Updated:
#কলকাতা: বিমান অবতরণ করানোর সময়ে গতিবেগ বেশি থাকাতেই কি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন অভিজ্ঞ পাইলট দীপক বসন্ত শাঠে? তার জেরেই কি ঘটে গেল এমন বিপত্তি? কোঝিকোড় বিমান দুর্ঘটনার তদন্ত যত এগোচ্ছে, ততই এমন সম্ভাবনা এবং তথ্য-প্রমাণ উঠে আসছে তদন্তকারীদের হাতে।
বিমানবন্দরের এটিসি সূত্রে খবর, সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ বিমান যখন অবতরণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল, সে সময়ে রানওয়েতে হাওয়ার গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১১ নটিকাল মাইলস। সেই গতিবেগ হিসেব করে এটিসি পাইলটকে বিমানের গতিবেগ বেঁধে দিয়েছিল ১৪০ নটিকাল মাইলস। কিন্তু বিমান যখন নেমে আসে তখন গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ নটিকাল মাইলস। যদিও বিশেষজ্ঞদের অনেকে বলছেন, ২০ নটিকাল মাইলস গতিবেগ অনেক সময়েই বাড়তে পারে। কিন্তু তার বেশি হলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়। বিশেষত, কোঝিকোড়ের মতো এমন ছোট 'টেবিল টপ' বিমানবন্দর হলে সম্ভাবনা আরও বাড়ে।
advertisement
তদন্তকারী দলের ধারণা, পাহাড়ি এবং উপকূলবর্তী ঝোড়ো হাওয়া থাকার কারণে বিমান অবতরণে যে অসুবিধে তৈরি হতে পারে বা বিমানের লেজের হাওয়া থাকায় সেই সম্ভাবনা যে আরও বাড়তে পারে, তা সম্ভবত আন্দাজ করতে পারেননি পাইলট। স্বভাবতই অবতরণের সময়ে তিনি বিমানের ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং দুর্ঘটনার কবলে পড়েন।
advertisement
তদন্তকারী দলে থাকা এক অফিসারের কথায়, "সাধারণভাবে অবতরণের সময়ে বিমানের গতিবেগ বেঁধে দেয় এটিসি। এ ক্ষেত্রে তার থেকে বেশি গতিতে কী ভাবে বিমানটি মাটি ছুঁতে গেল, তা খতিয়ে দেখতে হবে। আমাদের ধারণা, বিমানের লেজে উল্টোমুখী জোরে হাওয়া বইতে থাকায় বিমানটি মাটিও ছুঁতে পারেনি।"
advertisement
এর আগে তদন্তকারীদের হাতে তথ্য এসেছে, প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে বিমানকে অবতরণ করাতে চেয়েছিলেন কোঝিকোড় দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের পাইলট। বিমানবন্দরের এটিসি তাকে হাওয়ার গতিবেগ এবং দৃশ্যমানতা সম্পর্কে জানিয়ে অবতরণে সবুজ সঙ্কেতও দিয়ে দেয়। কিন্তু রানওয়ের একেবারে কাছে এসে মাটি না ছুঁয়ে ধীরে ধীরে এগোতে থাকে বিমানটি। হঠাৎ এমন কাণ্ড দেখে তাজ্জব বনে যান এটিসি-তে কর্মরত অফিসারেরা। মুহূর্তে ঘন বৃষ্টির মধ্যে মিলিয়ে যায় বিমানটি। সাধারণত এ রকম সময়ে 'মে ডে কল' (ইমার্জেন্সি কল) দেয় পাইলট। কিন্তু সে রকম কল আসেনি এটিসির কাছে
advertisement
তা সত্ত্বেও সঙ্গে সঙ্গে দমকলকে সতর্ক করে এটিসি। তার মধ্যেই সিআইএসএফ জওয়ানেরা খবর দেন, দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে বিমানটি।
তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, প্রচণ্ড বৃষ্টির মধ্যে বিমানকে অবতরণ করার জন্য নেমে আসেন পাইলট। কিন্তু রানওয়ের কাছাকাছি এসে তিনি বুঝতে পারেন, মাটিতে নামা যাবে না। তখন ফের একবার বিমানকে আকাশে উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন অভিজ্ঞ পাইলট দীপক বসন্ত শাঠে। কিন্তু সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। কোঝিকোড় এয়ারপোর্টে ভেঙে পড়ে বিমানটি। তদন্তকারী দলের কাছে প্রাথমিক তদন্তের পরে এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
advertisement
এমনকি, শেষমুহূর্তে ওড়ার জন্য সাধারণত পাইলটেরা যে 'থ্রটল' টানে, তারও প্রমাণ মিলেছে ভেঙে পড়া বিমানটি পরীক্ষা করে দেখার পরে।
Shalini Datta
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
গতি বেশি থাকাতেই কি দুর্ঘটনা! কোঝিকোড় কাণ্ডে নয়া তথ্য
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement