#আহমেদাবাদ: জানা ছিল যে জাহাজ ভরে আসছে কাপড়৷ কিন্তু কাপড়ের রোল খুলতেই ঘটল চরম বিপত্তি! সযুক্ত আবর আমিরসাহী থেকে পঞ্জাবে আসছিল বিপুল পরিমাণ কাপড়৷ আর তার মধ্যেই লুকনো ছিল ৭৫.৩কেজি দামি হিরোইন৷ যার দাম ৩৭৬.৫ কোটি টাকা৷ বিপুল পরিমাণ ড্রাগস ধারা পড়েছে মুন্দ্রা বন্দরে, গুজরাত অ্যান্টি টেররিস্ট স্কোয়াডের তৎপরতায়৷
আড়াই মাস আগে মুন্দ্রা বন্দরে পৌঁছে গিয়েছিল এই কন্টেনারটি৷ সন্দেহ হওয়ায় পঞ্জাব পুলিশ সেই খবর দেয় গুজরাত ATS-কে৷ কার্গোতে কাপড় রয়েছে, কিন্তু তাতে অন্য সন্দেহজনক বস্তু থাকতে পারে একথা জানানো হয়৷
আরও পড়ুন Parliament Monsoon Session: বাদল অধিবেশনের ঠিক আগে, রবিবার জোড়া বৈঠকখবর পেতেই গুজরাত এটিএস এবং পঞ্জাব পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর পৌঁছন মুন্দ্রা বন্দরে৷ সন্দেহজনক কন্টেনরটিকে চিহ্নিত করা হয়৷ শুরু হয় চিরুণি তল্লাশি৷ ৫৪০টি ফ্যাবরিক রোল খোঁজের পর ৬৪টি পাওয়া যায় হেরোইন৷
কার্ডবোর্ডের লম্বা পাইপ দিয়ে মোড়া কাপড়৷ আর সেই পাইপের মধ্যেই ছিল ড্রাগস৷ ভাল করে সিল করে রাখা ছিল হেরোইন৷ কার্বোন টেপ দিয়ে ছিল আটকনো যাতে এক্স রে মেশিনেও সেটা বোঝা না যায়৷ তবে শেষ পর্যন্ত তার হদিশ পায় পুলিশ৷ সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর গ্রিন ফরেস্ট জেনারেল ট্রেডিং নামক সংস্থা থেকে পাঠানো হয় কন্টেনারটি৷ জোভিয়াল কন্টেনার লাইনস এই কন্টেনারটি গ্রহণ করে৷ কচ্ছের গান্ধিধামে রয়েছে এদের অফিস৷
তবে কেন মুন্দ্রা বন্দরের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি? গুজরাতের ডিজিপি আশিষ ভাটিয়া জানান যে নির্দিষ্ট কোনও বন্দরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে লাভ নেই৷ নিজেদের সুবিধার জন্য ড্রাগ মাফিয়ারা যে কোনও রাস্তা ব্যবহার করতে পারে৷ গুজরাতের কান্ডলা, পিপাভব বন্দর থেকেও উদ্ধার হয়েছে মাদক৷ এমনকী মহারাষ্ট্রের নাভা শিবা, চেন্নাই এবং বাংলার কয়েক জায়গা থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে৷ জানিয়েছেন ডিজিপি৷
তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও গুজরাতের একাধিক পোর্টে এভাবে নিষিদ্ধ মাদক আটক করা হয়৷ একইভাবে গুজরাত পুলিশের তৎপরতায় তা ধরাও পড়ে৷নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।