#নয়াদিল্লি: তাপপ্রবাহের জেরে ১২ বছরের রেকর্ড ভাঙল জাতীয় রাজধানী দিল্লি। দিল্লির তাপমাত্রার পারদ ছুঁয়েছে সর্বোচ্চ ৪৩.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৪১ সালের ২৯ এপ্রিল দিল্লির সর্বকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অসহনীয় তাপের কারণে বৃহস্পতিবার অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন দিল্লি সরকার গ্রীষ্মে, এপ্রিল থেকে জুলাই অবধি প্রতিদিন প্রায় ১,০০০ মিলিয়ন গ্যালন পানীয় জলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ ঘোষণা করেছে। দিল্লি জল বোর্ড গ্রীষ্মকালীন অ্যাকশন প্ল্যান বিষয়ে জানিয়েছে যে জল সংকট রোধ করার জন্য GPS লাগানো মোট ১,১৯৮ টি জলের ট্যাঙ্কার জাতীয় রাজধানী জুড়ে মোতায়েন করা হবে। হরিয়ানার সবচেয়ে উষ্ণ শহরের রেকর্ড গড়েছে গুরুগ্রাম। তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আরও পড়ুন- কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাবেন না পিকে, প্রথম দিনই 'ভবিষ্যদ্বাণী' করেন রাহুল গান্ধি
দিল্লির স্পোর্টস কমপ্লেক্সে পারদ চড়েছে ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস! জাতীয় রাজধানীতে সবচেয়ে উষ্ণ স্থান হল স্পোর্টস কমপ্লেক্স, তারপরেই রয়েছে রিজ (৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস), মুঙ্গেশপুর (৪৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস), নাজাফগড় (৪৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস) এবং পিতামপুরা (৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
দিল্লিতে এপ্রিল মাসে নয় দিন ধরে তাপপ্রবাহ চলছে, ২০১০ সালে এক মাসে ১১ দিনের তাপপ্রবাহের পর এটিই সর্বোচ্চ। দিল্লিতে অবশ্য আংশিক মেঘলা আকাশ, হালকা বৃষ্টি এবং শুক্র ও রবিবার ৫০ কিলোমিটার বেগে প্রতি ঘণ্টায় ধুলো ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।
হরিয়ানায়, গুরুগ্রামের পরেই হিসারে তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ভিওয়ানিতে ৪৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নারনউলে ৪৪.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রোহতকে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, আম্বালায় ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং কারনালে ৪২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চণ্ডীগড়ের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছে ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আইএমডির পূর্বাভাস, আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চামড়া পোড়ানো এই তাপপ্রবাহ আরও তীব্র হবে। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের কিছু অংশের জন্য ‘কমলা সতর্কতা’ও জারি করা হয়েছে। উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে আরও দুই ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে।
আরও পড়ুন- যোগীর কড়া নির্দেশ, উত্তরপ্রদেশে ধর্মীয় স্থান থেকে ৬০৩১ টি লাউডস্পিকার সরাল পুলিশ
ভারতের একটা বিশাল অংশে মার্চের শেষ সপ্তাহ থেকে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হচ্ছে। মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এবং পশ্চিম রাজস্থানে গত দুই মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রয়েছে।
অন্যদিকে, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার সঙ্গে হিট সিঙ্কোপ, ক্র্যাম্প, ক্লান্তি এবং হিট স্ট্রোকের মতো সমস্যাগুলি নিয়ে সতর্ক করেছেন। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ পাবলিক হেলথ গান্ধিনগরের ডিরেক্টর দিলীপ মাভালঙ্কারের পরামর্শ, যতটা সম্ভব বেশি মানুষদের বাড়ির ভিতরেই থাকতে হবে, নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে হবে এবং তাপ সম্পর্কিত অসুস্থতার মাঝারি লক্ষণ দেখলেই নিকটস্থ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে যেতে হবে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Heat Wave, Heat Wave Alert