মহারাষ্ট্রে আরও বড় ভাঙনের মুখে পড়তে চলেছে বিজেপি। মহারাষ্ট্র বিজেপির অন্যতম নেতা একনাথ খাড়সে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। পাশাপাশি তিনি এনসিপি–তে যোগ দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন। শেষ কয়েকদিন ধরেই একনাথের দলবদল নিয়ে নানারকম জল্পনা চলছিল। শেষ পর্যন্ত সেই জল্পনাই সত্যি হল। তিনি নিউজ১৮–কে জানিয়েছেন, ‘আমাকে বিজেপিতে একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ ছাড়া বিজেপির কোনও নেতা, মন্ত্রীকে নিয়ে আমার কোনও ক্ষোভ নেই। আমার সঙ্গে কোনও বিধায়ক, সাংসদ নেই, আমি একাই দল ছাড়ছি।’
মহারাষ্ট্র সরকারের মন্ত্রী ও এনসিপির অন্যতম প্রধান জয়ন্ত পাটিল জানিয়েছেন, একনাথ খাড়সে শুক্রবার বেলা দু’টোয় এনসিপিতে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেবেন। ২০১৬ সালে দুর্নীতির অভিযোগে মহারাষ্ট্রের তৎকালীন বিজেপি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন একনাথ খাড়সে। সেই থেকে দলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বাড়তে শুরু করে। ২০১৯ সালে তাঁকে বিধানসভার নির্বাচনে টিকিট দেয়নি বিজেপি। তাই নিয়েও অশান্তি চরমে ওঠে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ম্যাকিয়াভেলির আদর্শে দল চালাচ্ছিলেন দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। যিনি ফড়নবিশের শিবিরে থাকবেন না, তাঁকে দলে একঘরে করে দেওয়ার নীতি নেওয়া হয়েছিল। বিধানসভা নির্বাচনের পরেই দলের মধ্যে এই দ্বন্দ্বের ছবিটা আরও স্পষ্ট হয়ে যায়। দলের শীর্ষ নেতারাই আতঙ্কে ছিলেন যে একনাথ খাড়সে, পঙ্কজা মুণ্ডের মতো দলের সদস্যরা বিভাজন তৈরি করতে পারেন। সেই কারণে তাঁদের অন্তরালে নিয়ে গিয়েছিল বিজেপি।
২০১৯ সালে বিজেপি মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে পরাস্ত হওয়ার পর এই দলিত নেতা অভিযোগ করেন, দেবেন্দ্র ফড়নবিশের জন্যই দল হেরেছে। তাঁর মতো প্রার্থীকে দল ভোটে দাঁড় করায়নি বলেই ক্ষমতা থেকে সরে গিয়েছে বিজেপি। পঙ্কজা মুন্ডে ও একনাথের মেয়ে রোহিনী খাড়তে পরাস্ত হওয়ার পিছনেও দেবেন্দ্র ফড়নবিশের হাত রয়েছে বলে তিনি সুর চড়ান। তাঁর রাজনৈতিক জীবন শেষ করে দিতেই এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।