#নয়াদিল্লি : অতিমারী আবহে করোনা মোকাবিলায় একমাত্র পথ টিকাকরণ (Covid Vaccine)। আর এই টিকার আকালেরই রব তুলেছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ বেশ কয়েকটি রাজ্য। এরইমধ্যে প্রকাশ্যে এসেছে চাঞ্চল্যকর সরকারি তথ্য। তালিকায় দেখা যাচ্ছে, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, পশ্চিমবঙ্গ, বিহার এবং রাজস্থান হল সেই শীর্ষ পাঁচটি রাজ্য যেখানে কোভিড -১৯ ভ্যাকসিনের প্রায় ১১ কোটি ব্যালেন্স ডোজ (Unused Vaccine doses) এখনও রয়েছে। এমনটাই জানাচ্ছে সরকারি তথ্য।
আরও পড়ুন: অভিষেকের বৈঠকে গরহাজির! নুসরত, মিমিকে শো-কজ করবে তৃণমূল?
রাজ্যসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে, প্রায় ২৩ কোটি কোভিড -১৯ টিকার (Covid Vaccine) ডোজ দেশের রাজ্যগুলির কাছে এই মুহূর্তে রয়েছে। এর মধ্যে উত্তরপ্রদেশে সর্বাধিক সংখ্যক অব্যবহৃত কোভিড-১৯ টিকার ডোজ (Unused Vaccine doses) রয়েছে যার ব্যালেন্স ২.৯ কোটি, তারপরে পশ্চিমবঙ্গ (২.৫ কোটি), মহারাষ্ট্র (২.২ কোটি), বিহার (১.৮০ কোটি), রাজস্থান (১.৪৩ কোটি), তামিলনাড়ু। (১.৩৫ কোটি) এবং মধ্যপ্রদেশ (১ .১ কোটি)।
কিছু রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ইনভেন্টরি রয়েছে সেই সব রাজ্যে যাদের জনসংখ্যার এখনও বেশিরভাগেরই দুই ডোজ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের(Unused Vaccine doses) প্রথম ডোজটি নিতে পারেনি। উদাহরণস্বরূপ, ভারতের বৃহত্তম রাজ্য উত্তর প্রদেশে প্রায় ৩.৫০ কোটি টিকাবিহীন বাসিন্দা রয়েছে। এই নিরিখে তারপরে বিহারের স্থান। ১.৮৯ কোটি টিকা না পাওয়া মানুষ রয়েছেন এই রাজ্যে। অন্যান্য শীর্ষ রাজ্যগুলি হল মহারাষ্ট্র (১.৭১ কোটি) এবং তামিলনাড়ু (১.২৪ কোটি)।
আরও পড়ুন: শিল্পী-মৎস্যজীবীদের জন্য সুখবর! জোড়া কার্ডে চমক মমতার, দেখালেন কর্মসংস্থানে নয়া দিশা...
যদিও পরিসংখ্যান বলছে দেশে Covid-19 ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) ১০০ কোটিরও বেশি ডোজ (এখন পর্যন্ত ১২৫ কোটিরও বেশি ডোজ দেওয়া হয়েছে) পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমীভাবে ভাল পারফর্ম করেছে দেশ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছিলেন যে বাকি জনসংখ্যাকে টিকাকরণে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং টিকা দেওয়া আরও কঠিন হবে।
"প্রথম ১০, ২০ বা ৭০% সহজ, কিন্তু শেষ ১০-২০% টিকাকরণ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া কঠিন কারণ এখানে আপনি এমন জনসংখ্যার কথা বলছেন যাদের কাছে কোনও না কোনও কারণে পৌঁছানো (বা বোঝানো) কঠিন। এই জনসংখ্যায় রয়েছেন তাঁরা যাদের ভ্যাকসিন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সর্বোচ্চ জায়গায় রয়েছেন,” ভ্যাকসিন বিশেষজ্ঞ ড গগনদীপ কং এর আগে News18.com কে এমনটাই বলেন। যাইহোক, নরেন্দ্র মোদি সরকারের ডোর-টু-ডোর ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ ‘হর ঘর দস্তাক’ কোভিড-১৯ টিকাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, অক্টোবরে উদ্যোগটি চালু হওয়ার পর থেকে প্রথম ডোজ টিকাপ্রাপকের সংখ্যা ৫.৯% বেড়েছে যেখানে দ্বিতীয় ডোজ কভারেজ ১১.৭% বেড়েছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Covid vaccine