#নয়াদিল্লি: গত কয়েকদিন ধরেই দেশে COVID-19 সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ঠিকই, তবে তা আতঙ্কের কারণ হওয়া উচিত নয়! শনিবার এমনটাই জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের দাবি, উদ্বেগের মতো কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া যায়নি এবং এ পর্যন্ত সংক্রমণের বৃদ্ধিও কয়েকটি জেলাতেই সীমাবদ্ধ। সংক্রমণ বৃদ্ধির জন্য কোভিড বিধি মেনে না চলা এবং বুস্টার ডোজ নেওয়ার বিষয়ে মানুষদের উদাসীনতার দিকেও ইঙ্গিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেরলের সাতটি এবং মিজোরামের পাঁচটি সহ দেশের সতেরোটি জেলায় সাপ্তাহিক কোভিড পজিটিভিটির হার ১০ শতাংশের বেশি বলে জানা গিয়েছে। ২৪ টি জেলায়, যার মধ্যে কেরলের সাতটি এবং মহারাষ্ট্র ও মিজোরামের চারটি করে জেলায় সাপ্তাহিক পজিটিভিটির হার ৫ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে, জানিয়েছে সরকারি এক সূত্র। “প্রথমত, আমরা উদ্বেগের কোনও নতুন ভ্যারিয়েন্ট খুঁজে পাইনি। ভারতে এখন BA.2 ছাড়াও, BA.4 এবং BA.5 রয়েছে, যেগুলি অন্যান্য ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় কিছুটা বেশি সংক্রমণযোগ্য,” পিটিআইকে বলেন টিকা সংক্রান্ত জাতীয় প্রযুক্তিগত পরামর্শদাতা গ্রুপের চেয়ারম্যান (NTAGI) ডাক্তার এন কে অরোরা।
আরও পড়ুন- বিচিত্র বিজ্ঞাপন! রোজগারের আশায় ফেসবুকে 'অদ্ভুত' পোস্টার উত্তরবঙ্গের যুবকের
এছাড়াও, গ্রীষ্মের ছুটির কারণে সংক্রমণের গতিশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাগুলি শিথিল করা হয়েছে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে স্বাভাবিক করে দেওয়ার কারণে দুর্বল ব্যক্তিদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। “সংক্রমণটি জনসংখ্যার বেশি ঘনত্ব যুক্ত মহানগর এবং বড় শহরগুলিতে সীমাবদ্ধ। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, আজকাল যারা সংক্রামিত হচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই টিকাপ্রাপ্ত এবং সাধারণ সর্দি বা হালকা ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো অসুস্থতা রয়েছে। আতঙ্কিত হওয়ার দরকার নেই, তবে অবশ্যই মনে রাখতে হবে কোভিড আমাদের চারপাশেই রয়েছে তাই আমাদের কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে এবং বিশেষত, ভিড়ের জায়গা এড়িয়ে চলতে হবে। মাস্ককে প্রতিদিনের জীবনযাত্রার অবিচ্ছেদ্য অংশ করে তুলতে হবে,” বলেন ডাক্তার এন কে অরোরা।
আরও পড়ুন- এক মাসে ভারতের এই বিখ্যাত মন্দিরের আয় কত? চোখ কপালে ওঠাবে ভক্তদের দানের পরিমাণ!
এক দিনে ৮,৩২৯ সংক্রমণের কারণে ভারতের কোভিড-১৯ সংক্রমণের সংখ্যা শুক্রবার ৪,৩২,১৩,৪৩৫-এ পৌঁছেছে, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক৷
সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঘটছে কেরল, মিজোরাম, গোয়া, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, হরিয়ানা, সিকিম, চণ্ডীগড়, কর্ণাটক এবং হিমাচল প্রদেশে৷ AIIMS-এর পরিচালক ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছেন, আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও হাসপাতালে ভর্তি বা মৃত্যুর তেমন বৃদ্ধি নেই। এছাড়াও, এর উত্থান নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলাকায় সীমাবদ্ধ। “সুতরাং সংক্রমনের সংখ্যা বৃদ্ধি এই মুহূর্তে উদ্বেগের কারণ নয়,” বলেন রণদীপ গুলেরিয়া।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Corona Virus COVID 19