নাসারন্ধ্রের প্রতিষেধক কী ভাবে দেওয়া হবে? ভয় পাবেন না, জানুন বিস্তারিত

প্রাথমিক ভাবে এমআরএনএ টিকা ছয় মাসের ব্যবধানে দেওয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে, এই ব্যবধান কমিয়ে তিন মাস করে দেওয়া হয়। কিন্তু তাতে খুব বেশি কিছু লাভ হয়নি বলেই মনে করা হচ্ছে। ফলে চতুর্থ ডোজের তেমন প্রভাব পড়বে না বলেই এখনও পর্যন্ত মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

নাসারন্ধ্রের মাধ্যমে এই প্রতিষেধক শরীরে প্রবেশ করানো হয়। বিজ্ঞানীদের আশা এটি মিউকোসাল স্তরে কাজ করবে। ভাইরাস যেখানে প্রবেশ করবে, সেই স্তরেই এই প্রতিষেধর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। কোভিডের ক্ষেত্রে নাক ও মুখ দিয়েই সব থেকে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। তাই একেবারে প্রথমেই প্রতিরোধ গড়ে উঠলে তা আর ছড়িয়ে পড়তে পারবে না। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে নাসারন্ধ্রে প্রতিষেধক দেওয়ার ফলে শক্তিশালী প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হচ্ছে।

ভারতে এই মুহূর্তে ভারত বায়োটেকের তৈরি ইনকোভ্যাক নামে একটি ন্যাসাল ভ্যাকসিন অনুমোদন পেয়েছে। এটি অ্যাডেনোভাইরাস ভেক্টরড ভ্যাকসিন।

ভারত বায়োটেকের তরফে জানান হয়েছে, ইঁদুর, বাঁদরের উপর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ChAd-SARS-CoV-2-S ভ্যাকসিনের একটি ডোজ সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের উপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে।

মনে করা হচ্ছে ইনজেকশনযোগ্য প্রতিষেধকগুলির তুলনায় নাসারন্ধ্রে দেওয়া টিকাগুলির প্রতিক্রিয়া ভাল। প্রায় ৩ হাজার জনের উপর করা ক্লিনিকাল ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপে iNCOVACC এর ২টি ডোজ দেওয়া হয়েছিল ৪ সপ্তাহের ব্যবধানে। এ ক্ষেত্রে বেশ ভাল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দেখা গিয়েছিল।