#নয়াদিল্লি: সিবিআই(CBI), ইডির(ED) অধিকর্তাদের(Director) কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের(Supreme court) দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র(Mahua Moitra)। বুধবার তিনি শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এবার কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা (Randeep Singh Surjewala) এই ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের দারস্থ হলেন।
কংগ্রেস নেতা তাঁর আবেদনে সিবিআই, ইডির অধিকর্তাদের কার্যকালের মেয়াদ বৃদ্ধিতে কেন্দ্র যে অধ্যাদেশ জারি করেছে, সেই অধ্যাদেশ অবিলম্বে রদের আবেদন জানিয়েছেন। সিসিবিআই এবং ইডি-র ডিরেক্টরের কার্যকালের মেয়াদ ২ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫ বছর করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে, ‘দিল্লি স্পেশাল পুলিশ এস্টাবলিশমেন্ট অ্যাক্ট (১৯৪৬)’ এবং ‘সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশন অ্যাক্ট (২০০৩)’ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কার্যকালের মেয়াদ ছিল দু’বছর। তাই আইন সংশোধনের জন্য অধ্যাদেশ জারি করা হয়।
এরপরেই কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলি মোদি সরকারকে নিশানা করেছে। রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ এড়াতে সিবিআই, ইডি, আইবি-র মতো কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির প্রধানদের কার্যকালের মেয়াদ দু’বছর করা হয়েছিল। কিন্তু মোদি সরকার রাজনৈতিক সুবিধার উদ্দেশ্যে এই মেয়াদ বাড়িয়েছেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বুধবার তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র শীর্ষ আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। এক টুইটে তিনি জানান, ‘সিবিআই এবং ইডি অধিকর্তাদের মেয়াদ বৃদ্ধির বিষয়ে কেন্দ্রীয় অধ্যাদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আমি পিটিশন দাখিল করেছি। কেন্দ্রের এই পদক্ষেপ সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরিপন্থী।’
আরও পড়ুন: 'দলের বিলুপ্তি অবশ্যম্ভাবী...', আরও বড় 'বিস্ফোরণের' ইঙ্গিত দিলেন তথাগত রায়!
বিজেপি সরকারকে নিশানা করে কংগ্রেস আগেই অভিযোগ করে, বিজেপি সরকার দেশের সমস্ত প্রতিষ্ঠানের বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুন্ন করছে। সরকারের সাম্প্রতিক অধ্যাদেশ তারই উদাহরণ। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন আসন্ন। এবার মেয়াদ বৃদ্ধির ইস্যুটি নিয়ে সংসদ সরগরম হবে, তা বলাই যায়। ইতিমধ্যেই বিরোধীরা সংসদে সিবিআই-ইডি অধিকর্তাদের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে সরব হবেন বলে জানিয়েছেন। বিরোধীদের প্রশ্ন, সংসদ শুরুর কয়েকদিন আগে এই অধ্যাদেশ কেন? এই অধ্যাদেশের মাধ্যমে কি সংসদের মর্যাদা ক্ষুন্ন করা হচ্ছেনা? সেই প্রশ্নও তুলেছেন কংগ্রেস নেতা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।