#নয়াদিল্লি: এবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়বেন যাদব পরিবারের টিপু। তার আগে জনতার মতামত জানতে চান তিনি। বর্তমানে আজমগড় থেকে লোকসভার সাংসদ তিনি। এই প্রথমবার বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছেন সমাজবাদী পার্টি সভাপতি তথা উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। তবে, কোন আসন থেকে তিনি লড়াই করবেন, তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি।সূত্রের খবর, অখিলেশ যাদবের ভোটে নামার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে দুটি কারণ। প্রথম, উত্তরপ্রদেশের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রথম ভোটে লড়াই করা। দ্বিতীয়, তাঁর পরিবারের সদস্য তথা ভ্রাতৃবধূ অপর্ণা যাদবকে বিজেপি'র দলে টানা। এই দুটি কারণই মূলত অখিলেশ যাদবকে ভোটের ময়দানে টেনে এনেছে বলে সপা সূত্রে দাবি করা হয়েছে।
অখিলেশ নিজেই জানিয়েছেন, দলের তরফে তাঁকে ভোটের ময়দানে নামার অনুরোধ করা হয়েছে। সেই কারণে সিদ্ধান্ত বদল করার চিন্তাভাবনা করছেন তিনি। সমাজবাদী পার্টি সূত্রের খবর, আজমগড়ের গোপালপুর কেন্দ্র থেকে এবারের ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন অখিলেশ যাদব। এর আগে বিধান পরিষদ থেকে জিতে মুখ্যমন্ত্রীর কূর্সিতে বসেছিলেন অখিলেশ যাদব। পূর্ব উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর সদর কেন্দ্রের প্রার্থী করা হয়েছে গোরক্ষপুর মঠের প্রাক্তন সভাপতি তথা লখনউয়ের "সন্ন্যাসী রাজা" যোগী আদিত্যনাথকে। তাঁকে সামনে রেখেই এবারের ভোট বৈতরণী পার করতে চায় বিজেপি।
আরও পড়ুন: শুনানি প্রায় শেষ, মুকুলের বিধায়ক পদ নিয়ে শিগগিরই মত জানাবেন বিধানসভার অধ্যক্ষ
আরও পড়ুন: ভোর চারটে, পার্ক সার্কাসে এক সাফাইকর্মী যা দেখলেন, ফের সমাজের মাথা হেঁট!
গত নভেম্বরে অখিলেশ যাদব জানিয়েছিলেন, এবারের উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি নিজে লড়াই করবেন না। বিজেপির অভিযোগ, হারের ভয়েই লড়াইয়ের ময়দানে নামতে রাজি নন টিপু। যদিও সেসব কটাক্ষ নস্যাৎ করে দিয়ে অবশেষে ভোটের ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুলায়ম সিং যাদবের নয়ণের মণি টিপু। প্রথমে নির্বাচনে লড়তে রাজি না হলেও, পরে আবার তিনি ইঙ্গিত দেন, দলের তরফে চাপ এলে লড়তে প্রস্তুত তিনি। ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে অখিলেশ বলেছেন, "যদি আমি ভোটে লড়াই করি, তাহলে আগে আজমগড়ের বাসিন্দাদের অনুমতি চাইব। কারণ, তাঁরাই আমায় নির্বাচিত করেছেন।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।