Cytomegalovirus|| করোনা, ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের পর সাইটোমেগালোভাইরাস হানা! কতটা মারাত্মক? কী উপসর্গ? জানুন...
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
নতুন করে ভয় বাড়াচ্ছে সাইটোমেগালোভাইরাস (Cytomegalovirus)। গবেষকরা বলছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার ২০-৩০ দিন পর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে।
#নয়াদিল্লি: দেশে করোনার দু'টি ঢেউ আছড়ে পড়তেই বদলে গিয়েছে মানুষের জীবন। ভয় বাড়িয়েছে অক্সিজেন সমস্যা। পরিস্থিতি একটু সামলাতেই চোখ রাঙিয়েছে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস। সেই ভয় এখনও কাটেনি তার মধ্যে নতুন করে ভয় বাড়াচ্ছে সাইটোমেগালোভাইরাস (Cytomegalovirus)। গবেষকরা বলছেন করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত রোগীদের সুস্থ হয়ে ওঠার ২০-৩০ দিন পর এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রমাণ মিলেছে। পেটে ব্যথা ও মলদ্বার থেকে রক্তপাতের লক্ষণ দেখা গিয়েছে। দিল্লির স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতালে (Sir Ganga Ram Hospital, Delhi) এই ভাইরাসে আক্রান্ত মোট ৫ জনকে সনাক্ত করা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
ড. মালা কানেরিয়া (Dr. Mala Kaneria) মুম্বই জসলোক হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টারের চিকিৎসক (Jaslok Hospital & Research Centre, Mumbai), ড. বিবেক দেভার (Dr. Vivek Devaar) আহমেদাবাদ, নারায়ণ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালের (Narayana Multispeciality Hospital, Ahmedabad) ক্রিটিকাল কেয়ার বিশেষজ্ঞ ও ড. পঙ্কজ আনন্দ (Dr. Pankaj Anand), জয়পুর, ফোর্টিস এসকর্টস হাসপাতাল (Fortis Escorts Hospital, Jaipur), কেয়ার ও আইসিইউ বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসক এই সাইটোমেগালো ভাইরাস এবং এর লক্ষণ সম্পর্কে কিছু কথা বলেছেন, সেগুলি নিচে ব্যাখ্যা করা হল।
advertisement
সাইটোমেগালো ভাইরাস বা সিএমভি (CMV) নতুন কোনও ভাইরাস নয়। এটা ইতিমধ্যেই ভারতে ৮০% - ৯০% জনসংখ্যার মধ্যে উপস্থিত। এটা একটি ডবল স্ট্যান্ডার্ড ডিএনএ ভাইরাস। এটা হারপিস ভাইরাসের বংশ বলে জানা গিয়েছে। যাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা রয়েছে, তাদের জন্য চিন্তার বড় কারণ নয়, তবে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা যাদের কম রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে মারাত্মক হতে পারে। এই ভাইরাসের দ্বারা যে কোনও বয়সের মানুষ আক্রান্ত হতে পারে। করোনা রোগীদের স্টেরয়েড নেওয়ার কারণে, রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা দুর্বল হয়ে যায়। সেই সময়ে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি বাড়ায়। ভাইরাসটি রক্ত, ইউরিন এবং লালার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। ভাইরাসের দ্বারা মস্তিষ্ক, হার্ট, ফুসফুস, অন্ত্র এবং কিডনি-সহ শরীরে অন্যান্য অঙ্গে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলার সম্ভাবনা থাকে।
advertisement
advertisement
স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের অধ্যাপক, অনীল অরোরা (Anil Arora) একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “এপ্রিল-মে মাসে করোনার দ্বিতীয় তরঙ্গ চলাকালীন আমরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচজন রোগীর পরিচয় পেয়েছি। যাঁদের মধ্যে পেটে ব্যথা, মলদ্বার দিয়ে রক্ত পড়া ইত্যাদির লক্ষণ ছিল। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। যে সব করোনা রোগীকে স্টেরয়েড বা অন্যান্য অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি ড্রাগ দেওয়া হয়েছে তাঁদের জন্য এই ভাইরাসের ঝুঁকি থাকছে”।
advertisement
চিকিৎসকদের মতে, সাইটোমেগালো ভাইরাসের লক্ষণগুলি হল, জ্বর, গলা ব্যথা, গায়ে-হাতে-পায়ে ব্যথা, ক্লান্তি, ত্বকের সমস্যা দেখা দেওয়া। রোগীর শরীরে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা ভালো থাকলে দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে কোনও চিকিৎসা ছাড়াই সুস্থ হওয়া যায়। আর যদি কোনও রোগীর রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা দুর্বল হয় তাহলে ফুসফুস, চোখ, কিডনি, লিভার, মস্তিষ্কে প্রভাব পড়তে পারে। কিছু রোগীর ক্ষেত্রে ডায়রিয়া বা মলদ্বার দিয়ে রক্ত বেরোনোর লক্ষণও দেখা দেয়। এই লক্ষণগুলি খুব মারাত্মক হতে পারে।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
July 09, 2021 1:41 PM IST